জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন
প্রকাশ : 2023-09-21 19:02:12১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। আগামী বছরের ২৪ জানুয়ারি দেশটিতে ভোট হবে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
ইসিপি বলেছে, তারা বৃহস্পতিবার সীমানা প্রক্রিয়ার অগ্রগতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সীমানাসংক্রান্ত আপত্তি ও পরামর্শ শুনে ৩০ নভেম্বর নির্বাচনী আসনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর ৫৪ দিনের নির্বাচনী তফসিল শেষ হওয়ার পর ২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইসিপির এ বিবৃতি অবশেষে নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তার অবসান ঘটাল। কারণ পূর্ববর্তী সরকার একটি নতুন আদমশুমারির অনুমোদন দিয়েছিল। ওই পদক্ষেপের ফলে নির্বাচনের আগে নতুন সীমানা নির্ধারণে নির্বাচনী সংস্থার বাধ্যবাধকতা তৈরি হওয়ায় নির্বাচনের অযাচিত বিলম্বের আশঙ্কা তৈরি হয়।
এ বছরের আগস্টের শুরুতে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের অকাল বিলুপ্তির কারণে ৯০ দিনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে ইসিপির বাধ্যবাধকতা ছিল, যার অর্থ ৬ নভেম্বরের পর নির্বাচন হওয়া উচিত নয়।
তবে ইসিপি বলেছে, নির্বাচনের আগে তারা নতুন সীমানা টানতে সাংবিধানিকভাবে বাধ্য, তাই ৯০ দিনের সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই), পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ (পিপিপি) প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোও দেশে বিরাজমান অনিশ্চয়তার অবসান ঘটাতে নির্বাচন কমিশনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যও দেশটিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও সময়মতো নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে পাকিস্তানের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেন, কাউন্সিল অব দ্য কমন ইন্টারেস্টে (সিসিআই) নতুন জনশুমারি অনুমোদন ও নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) সংসদীয় এলাকা পুনঃনির্ধারণের জন্য নির্বাচন মার্চ পর্যন্ত পেছাতে পারে। তিনি বলেন, সংসদীয় সীমানা নির্ধারণের পর ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ বা মার্চের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
গত মাসে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লোমও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজার সঙ্গে দেখা করে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন’-এর জন্য তার দেশের সমর্থন পুনর্নিশ্চিত করেছেন।
গত ৯ আগস্ট জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের কথা দেশটির সংবিধানের ৪৮ (৫) অনুচ্ছেদে বলা আছে। জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার ৮৯তম দিন আগামী ৬ নভেম্বর। সূত্র: ডন, রয়টার্স।
ই