জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষা আধুনিকরণের নেপথ্যে আবদুল্লাহ আল-মুতী
প্রকাশ : 2022-11-30 12:46:46১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
![জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষা আধুনিকরণের নেপথ্যে আবদুল্লাহ আল-মুতী জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষা আধুনিকরণের নেপথ্যে আবদুল্লাহ আল-মুতী](https://gramnagarbarta.com/storage/photos/1/thumbs/6386fc48db03a.jpg )
আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন (১ জানুয়ারি ১৯৩০ - ৩০ নভেম্বর ১৯৯৮) বাংলাদেশের একজন শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞান লেখক, বিজ্ঞান কর্মী এবং সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি আবদুল্লাহ আল-মুতী নামেই সমধিক পরিচিত। বিজ্ঞান জনপ্রিয় করণে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি ইউনেস্কো কলিঙ্গ পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
![](https://gramnagarbarta.com/storage/photos/1/315105563_851964189150266_1199391723745191916_n_1667972057.gif)
আবদুল্লাহ আল-মুতী কর্ম জীবন শুরু করেন রাজশাহী কলেজে শিক্ষক হিসাবে। ১৯৭৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যুগ্মসচিব হিসেবে যোগ দেন। তারপর শিক্ষা প্রশাসন ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গুরু দায়িত্ব পালন করেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন ১৯৮৬ সালে। তার প্রকাশিত বিজ্ঞান ও শিক্ষা বিষয়ক মৌলিক গ্রন্থের সংখ্যা ২৭, অণুদিত গ্রন্থের সংখ্যা ১০, সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ১০। এছাড়াও কিছু পান্ডুলিপি রয়েছে, যার অনেক গুলো এখনও অপ্রকাশিত। রেডিও এবং টিভিতে তার উপস্থাপিত অণুষ্ঠান বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়েছিল। তিনি লেখালেখি শুরু করেন ছাত্রজীবন থেকেই। বিজ্ঞানের জটিল, সূক্ষ বিষয়কে সহজ ভাষায় সর্বজনবোধ্য করে তোলার জন্য তার দক্ষতা ও সাফল্য ছিল তুলনাহীন। শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য অঙ্গণে অজস্র সংগঠন প্রতিষ্টানের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন আমৃত্যু। ১৯৪৭ সালে মুকুল ফৌজ আন্দোলনে যোগ দিয়ে পরবর্তী বছরে "মুকুল" নামে কিশোর পাক্ষিক পত্রিকা বের করেন। কেন্দ্রীয় কচি কাঁচার মেলা -এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ইত্তেফাক, আজাদ, মোহাম্মদী পত্রিকার নিয়মিত লেখক ছিলেন। জাতীয় শিশু-কিশোর সংস্থা সহ নানা সংঠনের উপদেষ্টা ছিলেন। এছাড়া তিনি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলা একাডেমি, ঢাকা ও বিজ্ঞান শিক্ষা সমিতিতে। এছাড়া তিনি আরো যেসব দায়িত্ব পালন করেছেন সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- প্রধান উপদেষ্টা, প্রথম ঢাকা মহাকাশ উৎসব "বেক্সিমকো স্পেসফেস্ট ১৯৯৬', চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের দশম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন কমিটি, উপদেষ্টা, দ্বিতীয় ঢাকা মহাকাশ উৎসব ‘স্পেসফেস্ট ১৯৯৯’। প্রধান উপদেষ্টা, ঢাকা প্রস্তাবিত স্পেস সেন্টার, উপদেষ্টা, মেঘনাদ সাহা বিজ্ঞান তথ্যকেন্দ্র ও গ্রন্থাগার । জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষা সংস্কার ও আধুনিকরণের কর্মকান্ডে তিনি প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থেকে উজ্জ্বল অবদান রেখে গেছেন।