চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি

প্রকাশ : 2024-04-29 17:05:42১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি

সোমবার (২৯) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এতে ভেঙে গেছে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সব রেকর্ড। চলতি মৌসুমে তাপমাত্রার পারদে এবারই প্রথম ৪৩-এর ঘরে পৌঁছালো।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে টানা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টানা তাপপ্রবাহে এ জেলার মানুষ ও প্রাণীকুল ওষ্ঠাগত। দিনের বেলায় প্রচণ্ড রোদ আর সন্ধ্যার পর ভ্যাপসা গরম নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবনে।

সকাল থেকে বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। এ কারণে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র তাপপ্রবাহে মাঠের ফল ফসল ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছে। এই তাপমাত্রা রেকর্ডের সময় সেখানে বাতাসের আর্দ্রতা পাওয়া গেছে ১৩ শতাংশ।

জেলা সদর হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া ও শিশু রোগীর সংখ্যা। ওয়ার্ডের মেঝেতে রেখে চলছে চিকিৎসা। এছাড়া বহির্বিভাগেও প্রতিদিন গড়ে গরমজনিত কারণে ৪০০-৫০০ শিশু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন।

অপরদিকে তীব্র গরমে চুয়াডাঙ্গা সদর, দামুড়হুদা ও আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়েকটি এলাকায় পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। পানি পেতে ইলেকট্রিক মোটর নামানো হচ্ছে মাটির ১০ থেকে ১২ ফুট গভীরে। বিভিন্ন গ্রামের অনেক নলকূপে একেবারেই পানি উঠছে না। অনেকের নলকূপের পানি কম ওঠায় নতুন স্থানে নলকূপ বসিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু লাভ হচ্ছে না।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও বিএডিসি ক্ষুদ্র সেচ দপ্তর বলছে, অপরিকল্পিতভাবে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি তোলা এবং যত্রতত্র পুকুর-খাল-বিল ভরাট করে ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। দিনে বাসায় থাকা দায় হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাতে মশার যন্ত্রণা। গরমের সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় সারা রাত নির্ঘুম কাটাতে হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, এ রকম তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে আরও কয়েকদিন। আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে বৃষ্টির কোনও আভাস নেই। 

এর আগে ২০১৪ সালে ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

 

সা/ই