চীনে প্রথমবারের মতো মাঙ্কিপক্স শনাক্ত
প্রকাশ : 2022-09-18 13:24:47১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
চীনে প্রথম বারের মতো মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। দেশটির পঞ্চিমাঞ্চলীয় চোংকিং শহরে এক ব্যক্তি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। চোংকিং হেলথ কমিশনের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি তিনি বিদেশে ভ্রমণ করেছেন বলে জানা গেছে।
ওই ব্যক্তির শরীরে র্যাশ এবং অন্যান্য লক্ষণ দেখা দিয়েছিল। সম্প্রতি বিদেশ থেকে ভ্রমণ করে আসায় বেশ কয়েকদিন তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তার মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনসন। এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তিনি এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
সসতর্কতা হিসেবে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা লোকজনকেও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে প্রথম বারের মতো হংকংয়ে একজনের দেহে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়। ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ফিলিপাইনে সফরের পর হংকংয়ে আসেন।
এদিকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তি লস অ্যাঞ্জেলসের বাসিন্দা। যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসে এটাই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা।
নাক, মুখ, চোখের পাশাপাশি আক্রান্তের পোশাক থেকে সংক্রমিত হতে পারে এই ভাইরাস। এই ভাইরাস খুবই সংক্রামক বলে সতর্ক করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি এক বিশেষ ধরনের বসন্ত। জলবসন্ত বা গুটিবসন্তের প্রতিকার থাকলেও এই ভাইরাস এতই বিরল যে, এখনো পর্যন্ত এর নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি জানতে পারেননি চিকিৎসকরা। মূলত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার কিছু দেশে এই ভাইরাসের খোঁজ মেলে। তবে নাম ‘মাঙ্কিপক্স’ হলেও একাধিক বন্যপ্রাণির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। এটি সবচেয়ে বেশি ছড়ায় ইঁদুরের মাধ্যমে।
এই ভাইরাসের উপসর্গ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তদের শরীরে প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, পিঠ ও গায়ে ব্যথার মতো লক্ষণ থাকে। এ থেকে হতে পারে কাঁপুনি ও ক্লান্তি। এর পাশাপাশি দেহের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠে। সঙ্গে ছোট ছোট ক্ষতচিহ্ন দেখা দিতে থাকে মুখে। ধীরে ধীরে তা পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, আক্রান্ত ব্যক্তির আশেপাশে থাকা ব্যক্তির মধ্যে সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস। শ্বাসনালি, ক্ষতস্থান, নাক, মুখ কিংবা চোখের মাধ্যমে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। এমনকি আক্রান্তের ব্যবহার করা পোশাক থেকেও ছড়ায় সংক্রমণ।