চাকরি হারানো শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে কর্মবিরতি, হামলায় দুজন আহত
প্রকাশ : 2024-11-13 14:50:57১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকায় এম এম নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালনের সময় শিল্পপুলিশ ও কারখানার স্টাফদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হামলায় কারখানার নিরাপত্তা ইনচার্জ এবং শিল্পপুলিশের এক কনস্টেবলসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার প্রধান ফটকে তালে ঝুলিয়ে তাদের কাছে চাবি রেখে দেয়। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, শিল্পপুলিশ ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত আছেন।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে ওই কারখানার অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন কারখানার নিরাপত্তা ইনচার্জ আজিজুর রহমান (৪৫) ও গাজীপুর শিল্পপুলিশ-২-এর কনস্টেবল নাহিদ (২৮)। আহত অন্যদের নাম জানা যায়নি। গুরুতর আহত পুলিশ কনস্টেবলকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, শ্রমিক আন্দোলনের সময় কারখানায় হামলা করে ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে এম এম নিটওয়্যার এবং ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানা কর্তৃপক্ষ ১১৩ জন শ্রমিক ছাঁটাই করে। ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ করার পরও তারা আবার চাকরি ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায় কারখানার প্রধান ফটকে জড়ো হয়। তাদের পুনরায় চাকরিতে নিতে দুই দিন যাবৎ সকাল থেকেই কারখানার সকল শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে আসছেন। পরে কারখানার ভেতরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা।
এম এম নিটওয়্যার লিমিটিড কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শ্রমিকরা আজও কর্মবিরতি পালন করছে। তাদের দাবি ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পূনর্বহাল করতে হবে। কিন্তু ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের তাদের সকল পাওনা শ্রম আইন অনুযায়ী পরিশোধ করা হয়েছে। তাদের কোনও অভিযোগ নেই। বর্তমানে যে অবস্থা সময়মতো শিপমেন্ট দিতে না পারলে অর্ডার বাতিল হয়ে যাবে। বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে কারখানা কর্তৃপক্ষ।’
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, এম এম নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পুনরায় চাকরিতে যোগদান করানোর দাবিতে দুই দিন যাবৎ কর্মবিরতি পালন করছে। সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলছেন।
সা/ই