চট্টগ্রাম নগরীর কয়েকটি এলাকা ‘রেড জোন’ ঘোষণা
প্রকাশ : 2021-04-19 19:13:51১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম নগরীর কয়েকটি এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করেছে পুলিশ। সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর থেকে চকবাজারের জয়নগর এক নম্বর গলি, খুলশী থানার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এসবি নগর, ওয়ারলেস, কুসুমবাগ আবাসিক এলাকাকে রোড জোনের আওতায় এনে মাইকিং করে ও ব্যানার ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. শামসুল আলম বলেন, 'চট্টগ্রাম নগরীর যেসব এলাকায় করোনার সংক্রমণ বেশি, সেসব এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নগরীর চারটি এলাকাকে রেড জােন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।'
সিএমপি সূত্রে জানা যায়, কোনো এলাকায় করোনা সংক্রমণ পরীক্ষায় লাখে ৬০ জনের বেশি শনাক্ত হলে, সেই এলাকাকে রেড জোন ধরা হবে। তিন থেকে ৫৯ জন হলে ইয়োলো জোন হিসেবে চিহ্নত করা হবে।
জানা গেছে, নগরীর চকবাজারের জয়নগর এক নম্বর গলি, খুলশী থানার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এসবি নগর, ওয়ারলেস, কুসুমবাগ আবাসিক এলাকা, ১৪ নম্বর লালখানবাজার ওয়ার্ডের টাংকির পাহাড়, বাঘঘোনা, হাইলেভেল রোড ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টাফ কলােনিকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এসব এলাকায় করোনার সংক্রমণ বেশি।
সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক বলেন, ‘সংক্রমণ হার বিবেচনায় চকবাজার থানার জয়নগর ১ নম্বর গলি রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রেড জােন থেকে কেউ যেন বিনা প্রয়োজনে বের হতে না পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। আর জরুরি প্রয়োজনে কেউ বের হলেও আমাদের সঙ্গে কথা বলে বা মহল্লা কমিটির সঙ্গে কথা বলে বের হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। রেড জোন এলাকায় কাঁচা বাজারের দরকার হলে ভ্যান গাড়ি প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে।'
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান বলেন, করােনা রােগী বেশি পাওয়ায় থানার কয়েকটি এলাকাকে রেড জােন ঘােষণা করা হয়েছে। রেড জোন এলাকায় মানুুষের চলাফেরায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং করা হচ্ছে।
করোনায় রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যু
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি দেশে একদিনে ভাইরাসটিতে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ হাজার ৪৯৭ জনে।
এ সময় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৭১ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ লাখ ২৩ হাজার ২২১ জনে।