গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি ফ্রান্স-মিসর-জর্ডানের

প্রকাশ : 2024-03-31 11:35:15১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি ফ্রান্স-মিসর-জর্ডানের

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের টানা প্রায় ছয় মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ। এই অবস্থায় গাজা উপত্যকায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে ফ্রান্স, মিসর ও জর্ডান। কায়রোতে বৈঠকের পর তারা এই দাবি জানান। অন্যদিকে ইরান-সমর্থিত ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিজয়ের অঙ্গীকার করেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মিসর, ফ্রান্স এবং জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গাজায় ‘অবিলম্বে এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি’ এবং হামাসের হাতে আটক সকল বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে তিন কূটনীতিকের বৈঠকের পর এই আবেদন জানানো হয়।

বার্তাসংস্থা এএফপি বলছে, বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন সেজোর্নও। তিনি সেখানে বলেন, তার সরকার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধের ‘রাজনৈতিক’ নিষ্পত্তির জন্য একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করবে। তিনি আরও বলেন, সেই প্রস্তাবে ইসরায়েলি-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে ‘দুই-রাষ্ট্র সমাধানের সমস্ত মানদণ্ড’ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

মূলত ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে দীর্ঘকাল ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দুইটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে সমর্থন করে এলেও প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ইসরায়েলি সরকার এর বিরোধিতা করছে। এদিকে ইরান সমর্থিত ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিজয়ের অঙ্গীকার করেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসলামিক জিহাদের নেতা তেহরানে আলোচনার জন্য ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছেন।

জিয়াদ আল-নাখালাহ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছেন, তার দল গাজায় ‘যুদ্ধে বিজয়ী’ হবে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনের জন্য ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানকে তিনি ধন্যবাদও জানিয়েছেন বলে দেশটির সরকারি বার্তাসংস্থা ইরনা জানিয়েছে।

আল-নাখালাহকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সক্রিয় কূটনীতি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের অবস্থানকে দৃঢ় করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে।’

অন্যদিকে ইসরায়েলের হামলায় প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্টের ২৬ সদস্য নিহত হয়েছেন। প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) বলেছে, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী তার দলের ২৬ সদস্যকে হত্যা করেছে। গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, ‘তাদের মানবিক দায়িত্ব পালন করার সময় এবং রেড ক্রিসেন্টের নিরাপদ প্রতীক পরিধান করে থাকার সময়ও’ তাদের প্রায় ১৫ জন কর্মী নিহত হয়েছেন।

সা/ই