গাজায় ‘শতভাগ’ মানুষ ‘তীব্র খাদ্য সঙ্কটে’ : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশ : 2024-03-20 11:16:22১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার ২০ লাখ মানুষ চরম মাত্রায় খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
গাজার পরিস্থিতি এখন কেমন? ব্লিঙ্কেনের কাছে এমনটাই জানতে চেয়েছিল বিবিসি। জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো গাজার পুরো জনগোষ্ঠীর এমন ভয়াবহ সংকটের কথা জানানো হলো।
যাদের প্রয়োজন, তাদের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেওয়াকে অগ্রাধিকার দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বলছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা আর মানবিক সহায়তা বাড়ানো না হলে আগামী মে মাসের মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।
ফিলিপাইনে সফরে গিয়ে ব্লিঙ্কেন এমন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের উদ্যোগ চলমান থাকা অবস্থায় এরপর মধ্যপ্রাচ্যে সফরে যাবেন ব্লিঙ্কেন। গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর মধ্যপ্রাচ্যে এটা ব্লিঙ্কেনের ষষ্ঠ সফর হবে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা, মানবিক সহায়তা দেওয়া এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করার লক্ষ্যে হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে গতকাল কাতারের দোহায় ইসরায়েলের আলোচকদের নতুন করে আলোচনায় বসার কথা।
গাজার পরিস্থিতি নিয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘গাজার শতভাগ মানুষ চরম মাত্রায় খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি হয়েছে। এবারই প্রথম সেখানকার সব মানুষকে এভাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।’
যখন কোনো ব্যক্তির পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার সক্ষমতা না থাকে ও সেটা ওই ব্যক্তির জীবন-জীবিকাকে তাৎক্ষণিকভাবে বিপদের মুখে ঠেলে দেয়; ওই পরিস্থিতিকে বলে ভয়াবহ খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা। এমন পরিস্থিতির সুরাহা করা না হলে সেটা মানুষকে অনাহারের দিকে ঠেলে দেয়।
এ বিষয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা আবারও দেখছি ও জাতিসংঘ বলছে, গাজার শতভাগ মানুষের মানবিক সহায়তা দরকার।’
আফগানিস্তান ও সুদানের সঙ্গে তুলনা টেনে ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ‘সুদানের সঙ্গে তুলনায় করলে দেখি, সেখানকার ৮০ শতাংশ মানুষের মানবিক সহায়তা দরকার। আফগানিস্তানে সেটা দরকার ৭০ শতাংশ মানুষের। তাই এখানকার (গাজা) পরিস্থিতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি।’(রয়টার্স)
সান