খালেদা জিয়াকে ভোট চুরির অপরাধে বিদায় নিতে হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী  

প্রকাশ : 2023-12-14 18:08:07১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

খালেদা জিয়াকে ভোট চুরির অপরাধে বিদায় নিতে হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী  

খালেদা জিয়াকে ভোট চুরির অপরাধে বিদায় নিতে হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শহিদদের রক্ত বৃথা যায়নি, বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের আয়োজিত ‌জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত নাকি গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলন করবে, গণতন্ত্র বানান করতে পারে? যারা জ্বালাও-পোড়াও করে, রেললাইন উপড়ে ফেলে তারা পরাজিত শক্তির দোসর। এদের না বলুন। এদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, এক বার নয়, দুই বার বিদায় নিতে হয়েছিল। ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। আমি বলেছিলাম গ্যাস পাবে না। আল্লাহ-তায়ালাও যখন সম্পদ দেয়, মানুষ বুঝে দেয়। সেই গ্যাস দিতে পারেনি। কূপ খনন করে দেখে গ্যাস নাই।

সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র তিন বছর সাত মাস সময় পান, এরই মধ্যে দেশটাকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন। স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি জাতিসংঘ কর্তৃক আদায় করেন। এতো অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের উন্নতিটা আমাদের স্বাধীনতা বিরোধীরা ভাবতেও পারেনি।

তিনি আরও বলেন, যারা বলেছিল বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে কি হবে? এটা তো বটমলেস বাস্কেট হবে। তারা এই উন্নয়নটাকে মেনে নিতে পারেনি। একটা দেশ এত দ্রুত অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাবে, প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগের ওপর উঠতে পারে, এটা তাদের ধারণার বাইরে ছিল। চক্রান্ত করে ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে।

নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই পাকিস্তানি বাহিনী ওই নিধনযজ্ঞ চালায়; তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর যেন বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে- তা নিশ্চিত করা।

শরীরে নিষ্ঠুর নির্যাতনের চিহ্নসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের লাশ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়েরবাজার এলাকায়। পরে তা বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর পালন করা হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এবারও যথযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করা হচ্ছে।