খালেদা জিয়ার অবস্থা 'ক্রিটিক্যাল', দোয়া চাইলেন মির্জা ফখরুল
প্রকাশ : 2024-06-22 19:34:41১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘ক্রিটিক্যাল’ উল্লেখ করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২২ জুন) দুপুরে বিএনপি মহাসচিব এভারকেয়ার হাসপাতালে যান এবং বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের সাথে কথা বলার পর গণমাধ্যমকে একথা জানান।ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে। সেখানে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক-নার্স ছাড়া সকলের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারদের সাথে কথা বলেন এবং তার শারীরিক চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন।
পরে গণমাধ্যমকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আজকে দেড়টায় ম্যাডামকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলাম। এখন তিনি সিসিইউতে আছেন। তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক এবং ডাক্তাররা এখন ভেতরে কাউকে যেতে দিচ্ছেন না।
ফখরুল বলেন, আমি তার চিকিৎসার সাথে নিয়োজিত ডাক্তারদের সাথে কথা বলে যেটা বুঝলাম, ডাক্তারদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি যে, তার অবস্থা বেশ ক্রিটিকাল। তারা আজকে সন্ধ্যায় সম্ভবত আবার বোর্ড মিটিং করবেন এবং এই বোর্ড মিটিং করে তারা পরবর্তী করণীয় সেটা নির্ধারণ করবেন। আমি আহ্বান জানাতে চাই, জনগনের কাছে তারা যেন ম্যাডাম সুস্থ হোন সেজন্য দোয়া করেন, আল্লাহ তায়ালার কাছে সেই দোয়া চাই।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় খালেদা জিয়াকে শুক্রবার (২১ জুন) রাত ৩টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গত ২ মে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে আসেন তিনি। ওই সময়ও চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউতে রেখে দুইদিন চিকিৎসা দেন।৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।
গত বছরের ৯ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন ৫ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত ১১ জানুয়ারি তিনি বাসায় ফেরেন। এর আগেও একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি করে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি পাওয়া যায়নি।গত বছরের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসনের রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়।