কাউনিয়ায় স্টেশনের জীবন ও জীবিক থেমে গেছে ৩ শতাধিক শ্রমজীবী মানুষের
প্রকাশ : 2021-04-17 16:12:16১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
করোনা ২য় ঢেউয়ে সরকারের ঘোষিত লকডাউনে কাউনিয়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনটিতে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় স্টেশনের সাথে জরিত জীবন ও জীবিকা নির্ভর ৩ শতাধিক শ্রমজীবী বেকার হয়ে পরেছে। তাদের কথা কেউ ভাবে না।
সরেজমিনে স্টেশনে গিয়ে দেখাগেছে, গত ২এপ্রিল ২০২১ থেকে ট্রেন চলাচলা বন্ধ করে দেয় রেল বিভাগ। তখন থেকে বিপাকে পরেছে ৩ শতাধিক শ্রমজীবি। এক সময়ে স্টেশনটিতে কর্মকর্তা-কর্মচারী, ট্রেনযাত্রী, দোকানদার, হকার, কুলিদের কলকাকলীতে মুখরিত থাকতো, সেই স্টেশনটি এখন শুনশান নিরবতা, কোন শব্দ নেই, নেই মানুষের আনাগোনা। শহীদ মোফাজ্জল হোসেন অভারব্রীজটি যেন চেয়ে আছে ট্রেন আসার অপেক্ষায়। স্টেশনটিতে ১০টি আন্তঃনগর ট্রেনসহ ২৮টি ট্রেন চলাচল করতো। স্টেশন কে ঘিরে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতো ১২জন কুলি, পঁচটি চা দোকানের ১০ জন কর্মচারী, দুইটি পান দোকানের ৪ জন কর্মচারী, ১টি বুক স্টেলের ২জন কর্মচারীসহ যাত্রী পরিবহনের সাথে জরিত প্রায় শতাধিক রিক্সা ও অটো চালক। সেই সাথে স্টেশনের নিচে রেল বাজারের শতাধিক দোকানদার।
করোনা ২য় ঢেউয়ের লকডাউনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় স্টেশনের সাথে জীবন ও জীবিকা নির্বাহকারীরা পরেছে চরম বিপাকে। স্টেশনের কুলি মকবুল জানায় আমারা অনাহারে অর্ধাহারে জীবন কাটাচ্ছি, আমাদের খবর কেউ রাখে না। রমজান মাস শুরু হয়েছে কি খেয়ে ছেলে মেয়েদের নিয়ে রোজা রাখবো কেউ তার খবর রাখে না। সরকার এতোকিছু ভাবে আমরা যারা কুলিগিরি করে জীবন চালাই আমাদের কথা কেউ ভাবে না। কুলি বাহাদুর জানায় প্রশাসন আমাদের ঘরে থাকতে বলে কিন্তু পরিবার পরিজন নিয়ে কি খেয়ে জীবন বাঁচাব সে কথা কেউ বলে না। একই কথা জানালেন চা দোকানদার কালাম, হকার আয়নাল, পান দোকানদার রহিমসহ অনেকই। স্টেশন মাষ্টার আঃ রশিদ জানান, ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় স্টেশনের সাথে জীবিকা নির্বাহকারী অনেকে বেকার হয়ে পড়েছে।
কাউনিয়া বণিক সমবায় সমিতির সম্পাদক সারওয়ার আলম মুকুল, জানান স্টেশনের সাথে জীবিকা নির্বাহকারীদের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের ভেবে দেখা দরকার। রমজান মাস চলছে এরপর সামনে পবিত্র ঈদ তাদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে যেন অন্তত ঈদ আনন্দটা করতে পারে সে বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা দরকার। যতদিন ট্রেন চলাচল করবে না ততদিন স্টেশনের সাথে জরিত শ্রমিকদের আর্থিক প্রনোদনা দেয়া প্রয়োজন বলে বিজ্ঞমহল মনে করছেন।