কাউনিয়ায় সুখের পায়রা কবুতর দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে
প্রকাশ : 2024-04-21 12:35:03১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
কবুতর এক প্রকারের জনপ্রিয় গৃহপালিত পাখি। একে পায়রা, কপোত, পারাবত প্রভৃতি নামেও ডাকা হয়। শান্তির পায়রা হিসেবে এর মর্যাদা আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত। রংপুরের কাউনিয়ায় প্রাণিসম্পদ বিভাগ নিরব দর্শকের ভুমিকায় সুখের পায়রা নামে খ্যাত কবুতর দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, পৃথিবীতে মোটি ১২০ প্রজাতির কবুতর আছে এবং এর মধ্যে বাংলাদেশে আছে ২০ প্রজাতির।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখাগেছে এক সময়ে গ্রামের প্রায় প্রতিটি গৃহস্থ বাড়িতে কবুতর দেখাযেত। আধুনিক যান্ত্রিকতায় বর্তমানে গৃহস্থ বাড়ি গুলোতে আর কবুতর দেখাযায় না। এব্যপারে গদাই গ্রামের কৃষক শাহজাহান, রাজিব গ্রামের কৃষক বিজয় ও নিজপাড়া গ্রামের প্রহলাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায় অনেক বার কবুতর বাজার থেকে কিনে এনে লাগিয়েছি কিন্তু হয় নি। কবুতর হল সুখের পায়রা সুখ না থাকলে হয় না। আগে কবুতরকে সংবাদবাহক হিসেবেও ব্যবহার করা হতো। ইতিহাস থেকে জানা যায়, হযরত শাহজালাল (রহঃ) এর সিলেট আগমনের সঙ্গে জালালী কবুতরের ইতিহাস একই সূত্রে গাঁথা। ১৩০১ সালে ইসলাম প্রচারে ইয়েমেন থেকে হজরত শাহজালাল (রহঃ) ভারতের দিল্লিতে আসেন। সেখানকার ওলি নিজামউদ্দিন আউলিয়া (রহঃ) শাহজালাল (রহঃ) আধ্যাত্মিক শক্তিতে মুগ্ধ হয়ে তাকে নীল ও কালো রঙ্গের এক জোড়া কবুতর উপহার দেন। হজরত শাহজালাল (রহঃ) ৩৬০ জন আউলিয়া নিয়ে ১৩০৩ সালে তৎকালীন আসামের অন্তর্ভুক্ত সিলেট (শ্রীহট্ট) জয় করে উড়িয়ে দিয়ে ছিলেন সেই কবুতর জোড়া। শাহজালালের সঙ্গী এই কবুতরের বংশধরেরা জালালী কবুতর নামেই পরিচিত। সেই থেকে সিলেটের আধ্যাত্মিক ইতিহাসের সঙ্গে মিশে রয়েছ জালালী কবুতর। বাংলাদেশের জলবায়ু এবং বিস্তীর্ণ শস্যক্ষেত্র কবুতর পালনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। কবুতরের মাংস খুবই সুস্বাদু। গৃহপালিত এই পাখিটি পালন করে শতশত আয় করা সম্ভব হলেও কৃষকদের এব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করছে না প্রাণিসম্পদ বিভাগ। সাধারণত ১২ মাসে ১৩জোড়া বাচ্চা উৎপাদন করতে পারে। কেউ কেউ বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে এদের পালন করছে। বর্তমানে কবুতরের অনেক চাহিদা রয়েছে কিন্তু সরবরাহ কম হওয়ায় চরা দামে বিক্রয় হচ্ছে। কবুতর চাষে উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহন করে নি। তাই দিন দিন কবুতর এলাকা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুমি বেগম জানান কবুতর পালন করতে এলাকার চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হবে।
সান