কাউনিয়ায় মাদক সেবীর সংখ্যা আশংকা জনক হারে বাড়ছে
প্রকাশ : 2024-06-02 16:15:35১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
রংপুরের কাউনিয়ায় যুব সমাজ দিন দিন ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। মাদকের ভয়াবহতা শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে পৌছে গেছে। হাত বাড়ালেই মিলছে নানা ধরনের মাদক। উর্তি বয়সের সন্তানদের নিয়ে অভিভাবকদের দুঃচিন্তার শেষ নেই।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানাগেছে একটি পৌর সভা সহ ছয়টি ইউনিয়নে সরকারী ও বে-সরকারী নানা পদক্ষেপ গ্রহন করার পরও মাদক সেবীর সংখ্যা আশংকা জনক হারে বাড়ছে। প্রায় তিন লাখ মানুয়ের উপজেলায় মাদক পাচার নিয়ন্ত্রন না হওয়ায় আসক্তের সংখ্যা দিন দিন বেইেড় চলছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর মাদকাসক্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেখা গেছে মদ, গাঁজা, তাড়ি, ফ্যান্সিডিল, হেরোইন, আফিম, ইয়াবা, ইনজেকশন জাতীয় ড্রাগ সহ বাজেরে কোমল পানিয় নেশা জাতীয় দ্রব্য ব্যাবহার করছে নেশা খোররা। নেশা খোরদের বেশীর ভাগ স্কুল কলেজের শিক্ষক, ছাত্র, বেকার যুবক, হতাশা গ্রস্থরা মরন নেশায় পা বাড়াচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন প্রতিনিয়ত মাদক বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিলেও প্রকৃত বিক্রেতারা ধরা পরছে না। এক অনুসন্ধানে জানা গেছে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম থেকে সড়ক, রেল ও নৌ পথে মাদক এই উপজেলায় প্রবেশ করে। লালমনিরহাট থেকে মাদক বেশির ভাগ হারাগাছ পৌরসভা সহ চরাঞ্চলের গ্রাম গুলোতে চলে যায়। সকাল বিকাল রংপুর হারাগাছ সড়কে লক্ষ করলে দেখা যায় রংপুর থেকে মটর সাইকেলে করে দলে দলে ভাল ভাল পরিবারের যুবক এসে মাদক সেবন করছে। হারাগাছের ধুমগাড়া, ফাতাংটারী, চরচতুরা, টাংরির বাজার, মায়াবাজার, বাধেরপাড়, দালাল হাটখোলা, পোদ্দার পাড়া বাধের পাড়, কসাই টারী, মেনাজ বাজার বাধের পাড়, সানাই মার্কেট, ধুমেরপাড়, গোল্ডেনের ঘাট, বানু পাড়া, খানসামা হাট, মীরবাগ রেল ষ্টেশন এলাকা, কাউনিয়ার রেলবাজার, কুলিপাড়া, তকিপল বাজার, বালিকা বিদ্যালয় মোড়, তিস্তা সড়ক সেতুর পার্শ্বে, নিজদর্পা, জামতলা, ভায়ারহাট এলাকায় প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকার মাদক কেনা বেচা হচ্ছে। উপজেলা আইন শৃংখলা সভায় প্রায় সকল চেয়ারম্যান মাদক সেবনের ভয়াভয়তা নিয়ে কথা বললেও এ যেন বন্ধ হবার নয়। বিগত সময়ে মাদক বিরোধী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করায় কিছুটা কমে ছিল। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা না হওয়ায় বর্তমানে আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করলেও তেমন কাজে আসছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান পুলিশ পারেনা এমন কিছু নাই। পুলিশ সোর্সদের ঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারছে না। এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ মাহাফুজার রহমান জানান, মাদকের ব্যাপারে কোন ছাড় নেই। মাদক নিয়ন্ত্রনে পুলিশ প্রশাসন সর্বদা কাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক জানান, মাদকের ভয়াবহতা থেকে এলাকা মুক্ত করতে হলে প্রশাসনের পাশা পাশি জনগনের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। জনগনই পারে মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে।