কাউনিয়ায় ভালো দাম পেয়ে বেজায় খুশি কৃষক 

প্রকাশ : 2024-03-22 18:52:43১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

কাউনিয়ায় ভালো দাম পেয়ে বেজায় খুশি কৃষক 

কাউনিয়ায় চলতি মৌসুমে তিস্তার চরে মরিচের সমারোহ। বাম্পার ফলন, দামও ভালো। গ্রাহকের কাছে মরিচের ঝাল বাড়লেও কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। চরের চাষিরা মরিচ চাষে তাদেও ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছে।

সরেজমিনে উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্ঠিত ২৭টি চর ঘুরে দেখা গেছে মরিচ ক্ষেতের ঘণ সবুজে ঘেরা। চারিদিকে জমি গুলোতে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন জাতের কাঁচা পাকা মরিচ। গত কয়েক বছর থেকে কাঁচা মরিচের ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। কাউনিয়ার মরিচ স্থানীয় চাহিদা পুরণ করে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায় গত বছরের চেয়ে এ বছর ২৫হেক্টর বেশি জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৭০ হেক্টর কিন্তু চাষ হয়েছে ১৭২ হেক্টর জমিতে। এসব জমিতে ৩৬৬ মেট্রিক টন মরিচ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হলেও উৎপ্দন অনেক বেশী হবে। অধিকাংশ মরিচ ক্ষেতই হলো তিস্তা নদীর জেগে ওঠা চরে। তিস্তা নদীর কোল ঘেষা চরে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। তিস্তার চরের পলি ও উর্বর দোআঁশ মাটিতে ফলন ভালো ও অধিক দাম পাওয়ায় চাষীরা বেজায় খুশী। আরাজী হরিশ^র গ্রামের কৃষক সোহরাব জানান প্রথমের দিকে প্রতি কেজি মরিচে সে ১১০ থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি করেছে, বর্তমানে দাম ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, তিনি জানান ৩৬ শতক জমিত মরিচ চাষ করে খরচ হইছে ১৬ হাজার টাকা মচির বিক্রি করেছে ৫৬ হাজার টাকা। একই কথা জানালেন গদাই গ্রামের রবিউল, ফুল মিয়া ও গনাই গ্রামের দুদু মিয়া। তারা জানান ‘তিস্তার চরে মরিচ চাষ করে অনেকের ভাগ্য বদলে গেছে। ঢুসমারা চরের কৃষক কোব্বাত আলী জানান, তাদের ক্ষেতের উৎপাদিত মরিচ স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীতে রফতানি হচ্ছে। উপজেলার তপিকল হাট, ভায়ের হাট, খানসামা হাট, টেপামধুপুর হাট ঘুরে দেখা গেছে দেদারছে কেনাবেচা হচ্ছে মরিচ। তকিপল হাটের আড়ৎদার হাফিজার মেম্বার জানান, চলতি মৌসুমে মরিচ চাষিরা অনেক ভাল দামে মরিচ বিক্রি করেছে। তার আড়ৎ থেকে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, বগুড়া, ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলার পাইকার এসে প্রতিদিন প্রায় ২০০মন মরিচ নিয়ে যায়। একমাস আগেও মরিচ ৪০০০ টাকা মন দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে বাজার একটু নিম্ন মুখি। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহনাজ পারভীন জানান আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষকদের সার্বক্ষনিক ট্যাকনিক্যাল পরামর্শ দেয়ায় চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ছাড়াও তিস্তার জেগে ওঠা চরের জমিতে প্রচুর পলি পড়ায় এলাকার মাটির প্রকৃতি ও আবহাওয়া মরিচ চাষের জন্য উপযোগী।