কাউনিয়ায় বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
প্রকাশ : 2024-05-11 12:42:28১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
কাউনিয়া উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে মাঠে ফসলের ভাল অবস্থা ও দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
সরেজমিনে উপজেলার পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ফসলী মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় রোগ বালাইয়ের প্রার্দুরভাব কম এবং প্রাকৃতিক তেমন কোন দূর্যোগ না হওয়ায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকার চালের কেজি ৪০ টাকা নির্ধারন করায় ভাল দাম পওয়ার আশা করছে এলাকার কৃষক। উপজেলা দিগন্ত মাঠ জুড়ে সোনালী রংয়ের ঝিলিক, শীষ বাতাসে যখন দোল খায় কি অপুরূপ দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। কৃষক-কৃষাণীর মনে ফসলের অবস্থা দেখে আনন্দের ঢেউ লেগেছে। প্রকৃতি বৈরী না হলে আর কয়েক দিনের মধ্যেই কৃষকের গোলায় উঠবে সোনালী ধান। ইতিমধ্যে হাট-বাজার গুলোতে কাচি, কুলা, ডালি, গোলা বিক্রির ধুম পড়েছে। বাঁশ ও বাঁশজাত পন্য বিক্রেতারা এই মৌসমটির অপেক্ষায় থাকে। এ মৌসমে তাদের ব্যবসা ভাল হয়। গদাই গ্রামের কৃষক শাহাজাহান মন্ডল, নিজপাড়া গ্রামের প্রহলাদ চন্দ্র, হরিশ্বর গ্রামের শাহাব উদ্দিন, রাজিব গ্রামের হাবিবুর ডাক্তার, নিজদর্পা গ্রামের আমিন উদ্দিন জানায় এবার বৃষ্টি নাহলেও বিদ্যুতের সরবরাহ ভাল থাকায় সেচে সমস্যা নাহওয়ায় ধানের ভাল ফলন হয়েছে। প্রচন্ড তাপদাহ হলেও আল্লাহ সহায় আছে বলে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে উপজেলায় ৭৫৯৭ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এর মধ্যে হাইব্রিড ২৪৯৯ ও উপশি ৫০৯৮, অর্জন হয়েছে ৭৬১০ হেক্টর জমিতে। বেশীর ভাগ হাইব্রীড ও উফশি জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। কর্মকর্তা শাহনাজ পারভিন জানান, ইতিমধ্যে বিরি ২৮ জাতের ধান সহ প্রায় ৪০ ভাগ ধানা কাটা শেষ হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে অন্য সকল ধানই কাটাও শেষ হবে। এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৩৫০২ মেট্রিক টন। সরকার কৃষকের ফলন বৃদ্ধির ব্যাপারে সব রকম সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রেখেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মহিদুল হক জানান, সরকার খাদ্য নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরির লক্ষ্যে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। কৃষক যেন সেচ কাজে সঠিক সময়ে সার ও বিদ্যুৎ পায় সে ব্যাপারে তদারকি ছিল এবং এখনও আছে। সার, বীজ, ডিজেল, কীটনাশক এর বাজার সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। এবার উপজেলায় সারের কোন সংকট হয়নি। বিদ্যুৎ এর কিছু সমস্যা থাকলেও কৃষক তা পুষিয়ে নিয়েছে। আল্লাহর রহমতে ও কৃষকের অক্রান্ত পরিশ্রমে এবার উপজেলায় ভাল ফলন আশা করছি। সার্বিক ভাবে উপজেলা চলতি বোরো মৌসমে বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মূখে হাসি ফুটে উঠেছে। তবে কৃষক উৎপাদন খরচ অনুপাতে ধানের দাম বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছে।