কাউনিয়ায় বন্যায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ১০ গ্রামের মানুষ

প্রকাশ : 2024-10-04 18:13:13১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

কাউনিয়ায় বন্যায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ১০ গ্রামের মানুষ

ভারতের উজান থেকে নেমে আশা পাহাড়ি ঢল আর কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিতে রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়। নদীর পানির তোড়ে বালাপাড়া ইউনয়নের মৌলভীবাজার এলাকায় ১০ গ্রামের মানুষের যাতায়তের নরবরে পাকা সেতুর সংযোগ সড়কের দুইপাশ ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

সরেজমিনে মৌলভীবাজার এলাকায় মানুষের সাথে কথা বলে জানাগেছে, বিগত বন্যায় সেতুর দুই পার্শের মাটি সরে গেলে এলাকার মানুষের চেষ্টায় পাকা সেতুর দুই পাড়ে বাঁশের সাঁকো তৈরী করে যোগাযোগ সাভাবিক করা হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজার রহমান জানান, ইতোমধ্যে পাকা সেতুটি পশ্চিমে হেলে গেছে, বিকল্প কোন ব্যাবস্থা না থাকায় জীবনের ঝুকি নিয়ে পারা হতে হচ্ছে। কিন্তু এবারের বন্যায় নদীর পানির তোড়ে সেতুর দুই পাড়ের সেই বাঁশ ও কাঠের সাঁকো ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। ফলে বালাপাাড়া, শহীদবাগ, হারাগাছ ইউনিয়ন ও লালমনিরহাটের রাজপুর ইউনিয়নের ১০ গ্রামের প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। বানভাসি এসব মানুষদের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। গোপীডাঙ্গা গ্রামের মোহাম্মদ আলী জানান, সেতুটি নতুন করে নির্মানের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বহুবার আবেদন নিবেন করেও কোন কাজ হয়নি। মৌলভীবাজার গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, ইউএসএআইডির অর্থায়নে ও কেয়ার বাংলাদেশের সহযোগিতায় চরাঞ্চলের প্রান্তিক মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে ২০১০ সালে ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে মরা তিস্তায় সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বন্যার পানির তোড়ে নির্মিত সেতুর দুইপাশের সংযোগ সড়কের মাটি ধসে যায়। 

এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সেতুতে উঠতে সংযোগ সড়কের বিকল্প হিসেবে সেতুর দুই প্রান্তে তৈরি করা হয় বাঁশ ও কাঠের সাঁকো। স্থানীয়রা জানান, সেতুটি নির্মাণের ৫ বছরের মাথায় বন্যার পানির শ্রোতে দুইপাড়ের মাটি ধসে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। তখন থেকেই সংযোগ সড়ক নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন। বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী সেতু পার হতে বাঁশ ও কাঠের সাঁকো তৈরী করে পাকা সেতুর দুই মাথায়। বর্তমানে সেতুটির দুই প্রান্তের বাঁশের সাঁকো ও মাটি ধসে পড়ায় ঝুকি নিয়েই পাড়ায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, চরাঞ্চলের কৃষকের উৎপাতি পন্য আনা নেয়া করতে চরম দুর্ভোগে পরেছে। স্থানীয়দের দাবি, সেতুটির দুইপাশে ধসে যাওয়া মাটির সংযোগ সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করার। উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমি জানান, সেতুটি সরজেমিন সার্ভে করেছি, নদীর পানি ও গত কয়েক দিনের বৃষ্টির পানির শ্রোতে ভেঙ্গে গেছে। ঢাকা থেকে একটি টিম আসার কথা নতুন সেতু নির্মাণের জন্য, যত দ্রুত সম্ভব অর্থ বারদ্দ সাপেক্ষে সেতুটির কাজ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিদুল হক জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি, সরজমিনে পরিদর্শন করে বিকল্প পথে যাতায়াতের জন্য ব্যাবস্থা করা হবে।