কাউনিয়ায় বন্যার পদধ্বনিতে আতঙ্কে তিস্তা পাড়ের মানুষ
প্রকাশ : 2024-08-23 19:45:01১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লার সাধারন মানুষ। বন্যার এই ভবাবহতা দেখে রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা নদী পড়ের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তাদের ধারনা ভারতের জলপাইগুড়ির গজলডোবায় নির্মিত তিস্তা ব্যারেজের জলকপাট খুলে দিলে বন্যার ভয়াবহতা দেখা দিবে। এই আতঙ্কে দিন কাটছে তিস্তার চরের মানুষের। শঙ্কিত নাহওয়ার আহবান জানিয়েছে কাউনিয়া উপজেলা প্রশাসন।
সরেজমিনে কাউনিয়া তিস্তা ব্রীজ পয়েন্টে গিয়ে গিয়ে দেখা গেছে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার বেশ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অনেকের ধারনা ভারতের সিকিম রাজ্য থেকে নেমে আসা তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। উত্তর সিকিম থেকে জলপাইগুড়িতে নেমে আসা তিস্তার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। ভারত যদি গজলডোবায় বাঁধ খুলে দিয়ে তিস্তার পানি ছেরে দেয় তা হলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিবে রংপুরের কাউনিয়ায়। তাই শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদীর দুই পারের মানুষ। তাঁদের আশঙ্কা, সিকিম থেকে নেমে আসা তিস্তার পানিতে বন্যা দেখা দিতে পারে। কাউনিয়া উপজেলার চর ঢুসমারা এলাকার কৃষক কোব্বাত আলী ও তাজুল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে তিস্তার নদীর পানি একটু একটু বাড়ছে। তাবে শুক্রবার থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে মানুষ ফেনী, নোয়াখালীর বন্যা দেখে আতঙ্কে রয়েছে। এলাকার সুধি জন জানান, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য ভারতকে যেমন বাংলাদেশের প্রয়োজন, তেমনি বাংলাদেশকেও ভারতের প্রয়োজন। সেটা শুধু নদীর পানি বণ্টন কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলাই নয়, বরং সব ক্ষেত্রেই। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, তিস্তা নদীর মূল পয়েন্টে ডালিয়ায় পানি প্রবাহ বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ০,৭০ সেঃমিঃ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তার বুকে বিপুল পরিমানে পলি জমা হয়েছে। এতে নদীতে পানি ধারণক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। একটু পানি বাড়লেই তিস্তাপাড়ে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবিব সরকার জানান, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রানমন্ত্রণালয় থেকে বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রাখার জন্য বলা হয়েছে, তবে কোন শর্তবস্থা জারির কথা বলা হয়নি। এখন পর্যন্ত বন্যা হওয়ার মতো পানি তিস্তা নদীতে আসেনি। কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক জানান, এখনো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। বন্যা মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি রয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি ও নদীপাড়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।