কাউনিয়ায় পিয়াজের বাম্পার ফলন ও দাম পেয়ে বেজায় খুশি কৃষক

প্রকাশ : 2024-03-18 18:46:35১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

কাউনিয়ায় পিয়াজের বাম্পার ফলন ও দাম পেয়ে বেজায় খুশি কৃষক

চলতি মৌসুমে পিয়াজের বাম্পার ফলন ও দাম পেয়ে বেজায় খুশি তিস্তার চলাঞ্চলসহ কাউনিয়ার বিভিন্ন গ্রামের কৃষক। 

সরেজমিনে তিস্তার জেগে উঠা চরসহ উপজেলার বিভিন্ন  ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে তিস্তা নদী বেষ্টিত গ্রাম গুলোতে পিয়াজের চাষ বেশী হয়েছে। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউনিয়নে পিয়াজের চাষ বেশী হয়েছে। তিস্তা নদীর জেগেউঠা চরসহ হারাগাছ, শহীদবাগ, বালাপাড়া, টেপামধুপুর ইউনিয়নের মাটি বেলে দোয়াশ হওয়ায় চাষ হয়েছে বেশী। উচু গ্রাম গুলোতে চাষ হয়েছে কম। গদাই গ্রামের পিয়াজ চাষী  আলামিন, শাহজাহান, পাঞ্জর ভাঙ্গা গ্রামের জসিম, আনারুল জানায় এ বছর পিয়াজের বীজের দাম বেশী ছিল। বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ খরচসহ অনান্য খরচ বেশী হয়েছে। তার পরেও কিছু নিম্নমানের বীজ থাকায় অনেকের ভাল ফলন হয়নি। যারা ভাল বীজ পেয়েছে তাদের ভালই ফলন হয়েছে। গদাই গ্রামের শাহাজাহান জানান, অনেকে পিয়াজ পুক্ত হাওয়ার আগেই আগাম তুলে বিক্রি করছে, তারা ভাল দাম পাচ্ছে। রমজান মাসে পিয়াজের চাহিদা বেশী থাকে তাই বাজারে দামও ভাল। জসিম জানান, তিস্তার চরে ৪০শতক জমিতে পিয়াজ চাষে তার খবর হয়েছে প্রায় ৪০হাজার টাকা, আশা করছেন এক লাখ টাকার পিয়াজ বিক্রি করবেন। এছারা এখন পর্যন্ত ফলন যে অবস্থায় আছে যদি কোন দূর্যোগ না আসে তবে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা তার। তারা কৃষি বিভাগ থেকে কোন সাহায্যে সহযোগীতা পায় না, এমন কি আধুনিক প্রযুক্তির কোন প্রশিক্ষনও পায়নি। তারা সরকারের কাছে সহজ শর্তে কৃষি ঋন দাবী করেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে পিয়াজ চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২০২ হেক্টর, চাষ হয়েছে ২১৫ হেক্টর জমিতে। এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ভাল ফলন আশা করছে তারা। এ উপজেলায় তাহেরপুরী ও ফরিদপুরী পিয়াজ চাষ হয়েছে বেশী। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানাজ পারভীন জানান পিয়াজের উপর আলাদা কোন প্রশিক্ষন দেওয়া হয় না। তবে মশলা জাতীয় ফসলের উপর প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। এছারাও বেশ কিছু চাষিকে প্রনোদনার বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। চরাঞ্চলে পিয়াজের ভাল ফলন হয়। এলাকার যে কোন কৃষক ফসল সংক্রান্ত কোন বিষয়ে জানতে আসলে তাদের সঠিক পরামর্শ দেয়া হয়। তিনি চলতি মৌসুমে কৃষক পিয়াজের বাম্পার ফলন ও দাম পাবে বলে আশা করছেন। 

ইবি