কাউনিয়ায় চাল সংগ্রহে ধীর গতি, চালের মূল্য বৃদ্ধি

প্রকাশ : 2024-02-05 17:42:05১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

কাউনিয়ায় চাল সংগ্রহে ধীর গতি, চালের মূল্য বৃদ্ধি

কাউনিয়া সরকারী ভাবে খাদ্য গুদামে আমন ধান সংগ্রহ শুন্য, চাল সংগ্রহে নেই গতি। গুদামে ধান নিতে অতিরিক্ত কেরিং খরচ, ধান শুকানো ও পরিষ্কার করা, গুদাম কর্মকর্তার ব্যবহার সহ বিল উত্তোলনে ঝামেলায় এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। সরকারি ভাবে সংগ্রহ অভিযান শুরু হওয়ার প্রাায় ২মাস অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত এক কেজি ধান সংগ্রহ করতে পারেনি। 

গত সোমবার পর্যন্ত চাল সংগ্রহ হয়েছে ৭৭০.৬১০ মেট্রিক টন। সংগ্রহ অভিযান শুরু হয় গত নভেম্বর মাসে। চলতি আমন ধান-চাল সংগ্রহ মৌসুমে কাউনিয়া খাদ্য গুদামে সরকারি ভাবে চাল সংগ্রহের বরাদ্দ রয়েছে ১হাজার ১৩২ মেট্রিক টন। 

এছাড়া ধানের বরাদ্দ রয়েছে ৪০২ মেট্রিক টন। উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্র মতে, চাল প্রদানে চুক্তিবদ্ধ মিলারের সংখ্যা ৩৮টি। তবে উপজেলায় মোট মিলারের সংখ্যা ৯২টি। এদিকে গত একসপ্তাহ ধরে উপজেলার হাটবাজার গুলোতে চালের দাম বেড়েই চলেছে। নিজপাড়া গ্রামের কৃষক প্রহলাদ চন্দ্র জানান, তিনি স্থানীয় বাজারে প্রতি মন ধান বিক্রি করেছেন ১১৮০ টাকায়। তিনি বলেন বাজারে ঝামেলা নাই, নগদ টাকা পাই পাইকারকে ধান দিয়ে আসি। তিনি বলেন ১১৬০ থেকে ১১৮০ টাকা ধান
বিক্রি হয়। 

গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারে ধানের দাম একটু চড়া। রাজিব গ্রামের কৃষক সোহরাব হোসেন বলেন আমি মৌসুমে ১০৯০ টাকা মন দরে ধান বিক্রি করেছি। ধান ব্যবসায়ি দুলু বলেন মৌসুমের শুরুর দিকে প্রতি মন ধান ৯৮০টাকা থেকে ১০২০টাকা পর্যন্ত ধান কিনেছি। বর্তমানে ১২৫০ টাকা থেকে ১২৭০ টাকায় কিনছি। মিলচাতাল মালিক সমিতির সভাপতি মিনহাজুর রহমান হেনা জানান, বাজারে ধানের দাম বেশী আমরা লাইসেন্স ঠিক রাখতে লস করে গুদামে চাল দিচ্ছি। উপজেলার হাট বাজার গুলো ঘুরে জানাগেছে বড় বড় অটো রাইস মিল মালিকরা মাঠ পর্যায়ে পাইকার দিয়ে কমিশনের ভিত্তিতে ধান সংগ্রহ করে তাদের মিলে মজুদ করছে। এই সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকারি গুদামে ধানও চাল নিতে হিমশীম খেতে হয় কর্মকর্তাদের।

উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে আমন ধানের উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশী উৎপাদন হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা শাহানাজ পারভীন জানান, ধানের বাজার মূল্য আর সরকারী মূল্য প্রায় সমান ও গুদামে কিছুটা হয়রানীর কারনে কৃষক খাদ্য গুদামে ধান দিতে আগ্রহী হয় না। উপজলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহেল আহমেদ জানান, সংগ্রহ অভিযান ফেব্রয়ারীর ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলবে। বাজার দর বেশি হলেও চাল সংগ্রহ অভিযান সফল হবে বলে আমি আশাবাদী। 

এছাড়া গত বোরো সংগ্রহ মৌসুমে সংগ্রহ অভিযান সফল হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

সান