কাউনিয়ায় ঘনকুয়াশা ও শৈত প্রবাহ
প্রকাশ : 2024-11-20 16:11:17১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
কাউনিয়া উপজেলায় তিস্তা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চল সহ বিভিন্ন এলাকার দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষেরা ঘনকুয়াশায় তীব্র শীত ও কনকনে ঠান্ডায় দূর্ভোগে পড়েছে। শীত মৌসুমে ১ম শৈত্য প্রবাহের কবলে পড়েছে কাউনিয়া অঞ্চল।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে ঘনকুয়াশায় তীব্র শীত ও ঠান্ডায় শিশু ও বৃদ্ধরা এবং শ্রমজীবী ছিন্নমূল মানুষেরা পড়েছে বিপাকে। ব্যাপক ভাবে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগ। হঠাৎ করে ভোর থেকে কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় পুরো এলাকা। দুপর ১২টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। এতে কনকনে ঠান্ডা দেখা দেয়ায় দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষেরা কাহিল হয়ে পড়েছেন। রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাগেছে এখন তাপমাত্র কমতে থাকবে ও কুয়াশার পরিমান বাড়বে। বুধবার সকালে রাস্তায় হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। ঘন কুয়াশায় বাড়ছে সড়ক দূর্ঘটনা। মীরবাগে কুয়াশার কারনে সড়ক দূর্ঘটনায় অজ্ঞাত একব্যাক্তির করুন মৃত্যু হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে উপজেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী ১৭টি গ্রাম সহ সারা উপজেলার খেটে খাওয়া ছিন্নমূল ও দরিদ্র মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে শীত ও ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে। তীব্র শীত ও কনকনে ঠান্ডায় শ্বাস কষ্ট, নিউমোনিয়া, হাঁপানি, ডায়রিয়া সহ নানা রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। শিশু ও বৃদ্ধরা শীত জনিত রোগে বেশি বেশি আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। শীত নিবারণে খড় কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে গ্রামের অসহায় শীতার্ত মানুষকে।
এছাড়াও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। গরু, ছাগল, মহিষের গাঁয়ে চটের বস্তা ঝুলিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছে কৃষকরা। তীব্র ঠান্ডায় হাঁস, মুরগীর মড়ক দেখা দিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক জানান, শীতের তীব্রতা বাড়লে উপজেলা প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।