কাউনিয়ায় গরম কাপড়ের বাজার দরিদ্র মানুষের নাগালের বাইরে
প্রকাশ : 2022-01-28 18:34:41১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ছয় ঋতুর দেশে পৌষ-মাঘ মাস ভরা শীত কাল। এখন চলছে মাঘ মাস, প্রবাদ আছে "মাঘের জারে বাঘ কাঁদে" তেমনি গত এক সপ্তাহ ধরে হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে কাউনিয়া উপজেলার তিস্তার চরা ল সহ এলাকার সাধারণ মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে দরিদ্র মানুষ নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছে। শীত বেড়ে যাওয়ায় কাপড় ব্যাবসায়ীরা সুযোগ বুঝে বাড়িয়ে দিয়েছে গরম কাপড়ের দাম। প্রতিটি গরম কাপড়ের দাম ৩০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে ফুটপাত ব্যাবসায়ীরা। দরিদ্র মানুষের ফুটপাতের গরম কাপড়ের বাজার গরম হয়েছে গেছে। একারণে দরিদ্র মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় তারা গরম কাপড় ক্রয় করতে না পেরে শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বৃহত্তম খানসামা হাটের রাস্তার ধারে শীতের কাপড়ের বাজারে গিয়ে দেখাগেছে ক্রেতাদের ভীড়। কিন্তু অনেক ক্রেতাই দাম বেশি হওয়ায় শীতের কাপড় না ক্রয় করে বাড়িতে ফেরত যাচ্ছে। এ উপজেলায় তিস্তা নদীর ১৭ চরে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বসবাস এর মধ্যে অধিকাংশই দরিদ্র। তারা দিনমজুরি করে দিন আনে দিন খায়। তাদের কাছে বাহারী গরম পোষাক শুধুই স্বপ্ন। তাই রাস্তার পুরাতন (নিলামী) কাপড়েই একমাত্র ভরসা। নাজিরদহ গ্রামের দরিদ্র করিম উদ্দিন (৭৪) বলেন শীতে হামার অবস্থা কাহিল বেহে। গরম কাপড় কিনবার সামর্থ্য হামার নাই বাহে, কায়ো একনা কম্বল চাদর কিছুই দেয় না। ঠান্ডাত কেমন করি দিন কাটাই বাহে। হামাক একনা কম্বল চাদর দেন বেহে। সরকারী ভাবে যৎসামান্য কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠানও কম্বল বিতরণ করেছে। যা চাহিদার তুলনায় নগন্য। তাই এলাকার দরিদ্র মানুষেরা পর্যাপ্ত কম্বল বরাদ্দের দাবী জানিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা তারিন বলেন বেশ কিছু কম্বল বিতরণ করা হয়েছে, আরও চাহিদা পত্র জেলা প্রশাসকের দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই দরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।