কাউনিয়ায় কামার পল্লীতে ঠুং ঠাং শব্দে মুখর
প্রকাশ : 2024-06-15 14:18:42১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
আর কয়েক দিন পরই ঈদুল আযহা একারনে এখন ওদের পন্য তৈরীতে ব্যস্ততা বেরেছে। কেউ এসে বলছে না দাদা ঈদ সামনে তাড়াতাড়ি একটা ছোরা, দা বা বটি তৈরী করে দেন।
বছরজুড়ে কেউ খোঁজ না রাখলেও ঈদুল আযহার কয়েক দিন আগে থেকেই সবাই খোঁজ নেয় কামারদের। কোরবানির পশুর মাংস আর চামড়া কাটাকাটি করতে প্রয়োজন দা, বটি, ছুড়িসহ বেশ কিছু ধারালো জিনিস। এরপর কোরবানির পশুর চামড়া ছাড়ানো, মাংস, হাড় কাটার জন্য এসব জিনিসের প্রয়োজন বলে মুসলমানেরা কোরবানীর পশু গরু ছাগল মহিষ কেনার পাশাপাশি দা, ছুরি, চাপাতি, বটি, চাকু ইত্যাদি সরঞ্জাম কিনতে ব্যতিব্যস্ত। অন্য বছর এ সময়টায় তারা দিনরাত ঠুং ঠাং শব্দ করলেও এবছর কিছুটা নীরবতা লক্ষ্য করা গেছে। নেই তেমন ভাঁতি আর তার ফাঁসফুঁস শব্দ। সরেজমিনে উপজেলার তকিপল হাট, টেপামধুপুর, সারাই, মীরবাগহাট, বকুলতলাসহ বিভিন্ন হাটবাজার এবং কামার পল্ল¬ীতে গিয়ে দেখা গেছে, বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে কোরবানীর এই সময়টাতে তারা তুলনামুলক ভাবে একটু বেশি ব্যস্ত থাকতেন কিন্ত এবারের চিত্র আলাদা। বাজারে লোহার দাম বেশি আর মানুষে হাতে টাকা কমে যাওয়ায় তাদের কাছ অনেকেই জিনিস কিনতেই আসছে না। তারপরেও জনগনের চাহিদার কথা মাথায় রেখে উপজেলার কিছু কামার এখন ছোট বড় দা, বটি, ছুরি, চাকু সহ কোরবানীর কাজে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধাঁরালে অস্ত্র তৈরি করে রাখছেন বিক্রির আশায়। নিজপাড়া গ্রামের কামার শিল্পি প্রাণ কিশোর পানো জানান লোহা ও কয়লার দাম বেশী হওয়ায় তাদের এ পেশায় সারা বছর ভাঁটা থাকে তাই অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিতে বাদ্ধ হচ্ছেন। অন্যান বার হাসি মুখে অন্নদানগর রোডের কামার শিল্পি আলম বলতেন, সারা বছর কোনো রকমে টেনে টুনে এ পেশা ধরে থাকলেও ঈদে আমাদের কদর বেড়েছে। কিন্ত এবার তার মুখে হাসি নেই, বিষাদঘন মন নিয়ে বললেন আল্লাহ জানে কি হবে, পরিবার পরিজন নিয়ে চলবো কি ভাবে ? সারাবছরে যে পরিমান পন্য বিক্রি হয় তার প্রায় দ্বিগুন বিক্রি হয় কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে। স্থানীয় একজন জানান, অর্থনৈতিক মন্দার কারনে অনেকেই কোরবানী দিচ্ছেন না ফলে কামারদের পন্যর চাহিদা কম।