কাউনিয়ায় কাঁচামরিচের দামে পুড়ছে ক্রেতার পকেট!
প্রকাশ : 2024-10-07 17:14:07১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
রংপুরের কাউনিয়ায় কাঁচামরিচের দাম দ্বিগুণের চেয়ে বেশী বৃদ্ধি পয়ে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ পূর্বে কাউনিয়ায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ প্রকারভেদে ১২০ থেকে ২০০ দরে বিক্রি হলেও একই মরিচ সোমবার বিক্রি হয়েছে প্রকার ভেদে পাইকারি বাজারে ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা, খুচরা বাজারে ৩৯০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। মরিচের দাম বৃদ্ধিতে নি¤œ আয়ের মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত।
সরেজমিনে উপজেলার বৃহৎ হাট খানসামা, টেপামধুপুর ও তকিপল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ না থাকায় বাজারে কাঁচা মরিচের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে বিভিন্ন বাজারে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে কাচা মরিচের এতো দাম কখনও দেখেনি সাধারণ মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাউনিয়ায় অধিকাংশ সবজি আসে স্থানীয় চরাঞ্চল, বগুড়া, হিলিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে। পর পর দুই বার বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে মরিচ ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় বাজারে কাঁচামরিচ আসছে না। ফলে বাজারে সংকট দেখা দিয়েছে। এ সুযোগে দাম বাড়িয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। গুটিকয় দোকানে দেশি কিছু কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ ১০০ টাকায়। দাম শুনেই অনেক ক্রেতা কাঁচা মরিচ কিনছেন না। বাজারে কথা হয় রিক্সা চলক আনারুলের সাথে, সে জানায় তার বুঝ হয়েছে থেকে কখনও শোনে নাই কাচা মরিচের কেজি ৪০০ টাকা। বেসরকারি কর্মকর্তা মোকারম হোসেন বলেন, কাচামরিচসহ দ্রব্যমূল্য যেভাবে বেড়েছে আমরা নি¤œ আয়ের মানুষ আর পাচ্ছি না। নতুন সরকার আসার পর প্রতিটি দ্রব্যর মূল্য বেড়েই চলেছে। কাঁচা মরিচের দামের এই ওঠানামার পেছনে টানা বৃষ্টি ও বন্যাকে দুষছেন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তকিপল বাজারের আড়ৎদার হাফিজার রহমান জানান, আড়তে কাঁচা মরিচের সরবরাহ না থাকায় খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে। কাউনিয়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কোন তদারকি না থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছে। এমনিতেই বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। তারওপর বন্যা ও টানা বৃষ্টি হওয়ায় বাজারগুলোতে কমেছে পণ্যের সরবরাহ। ফলে বর্তমান সম্পর্কে নি¤œ আয়ের মানুষসহ অধিকাংশ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক জানান, বাজারে অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।