কাউনিয়ায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কুমারদের দুর্দিন বানিজ্যমন্ত্রীর নজরে আসেনা
প্রকাশ : 2021-04-19 16:32:03১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
কাউনিয়ার টেপামধুপুর ইউনিয়নের ভায়ারহাট কুমার পাড়া গ্রামের মৃৎশিল্পীরা করোনা ২য় ঢেউয়ে লকডাউনে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পরেছে। আর্থিক সংকটে অনেকে পূর্ব পূরুষের পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলায় টেপামধুপুর ইউনিয়নে কুমার পাড়া গ্রামে ১৫-২০টি পাল পরিবার রয়েছে। সবুজ শ্যামল ছায়াঘেরা গ্রামটির শোভা বর্ধন করে পালদের নিপুন হাতে মাটির কলস, চাড়ি, হাঁড়ি, পাতিল, খুঁটিসহ মাটির তৈরী নানা বৈচিত্রের খেলনা সামগ্রী। তাদের তৈরী বাসনপত্র দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে ঠেলাগাড়ী, ভ্যান ও ভারে করে। যান্ত্রিক সভ্যতা যুগে মাটির তৈরী সামগ্রীর পরিবর্তে প্লাস্টিক সামগ্রীর সহজলভ্য দাম কম হওয়ায় তাদের তৈরী জিনিসের চাহিদা আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। তার উপরে নতুন করে মরার উপর খরার ঘা, বৈশ্বিক মহামারী করোনা একের পর এক লকডাউন। কুমার পাড়া গ্রামে মেনেকা বালা পাল (৫৭) জানান, আগের মতো তাদের জিনিসের আর কদর নেই। ১ম করোনা শুরুর পর অনেক কষ্টে এ গ্রামের কুমাররাও এতোদিন টিকে ছিলেন নানা প্রতিকুলতার মধ্যে।
বর্তমানে করোনার ২য় ডেউয়ে পরে বেচা কেনা না থাকায় বেহাল অবস্থা। তার উপর প্লাষ্টিক পন্যার প্রভাব আর এঁটেল মাটি না পাওয়ায়, পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, এনজিও গুলোর কড়া সুদে ঋণ, তৈরী পন্যার চাহিদা কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে তারা এ পেশা ছারতে বাদ্ধ হচ্ছে। বিপেন পাল বলেন, এ শিল্পকে ধরে রাখার জন্য পুঁজি আমাদের নেই। বাধ্য হয়ে পেশা ছেড়ে দিতে হবে। অবিনাষ পাল ও লালু পাল বলেন, সরকার আমাদের ঋণ সহায়তা দিবে বলে কিন্তু তা পাই না। ব্যাংকে ঋনের জন্য গেলেই বলে জমির কাগজ লাগবে, আমরা জমি পাব কোথায় ? করোনার সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে এনজিও গুলোর কড়া সুদে ঋণ নিতে হচ্ছে। কাউনিয়ার ঐতিহ্যবাহী ভায়ারহাটের কুমার পাড়ায় পাল স¤প্রদায়ের মধ্যে মধুর সম্পর্ক লক্ষনীয়।
তারা জানান প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্মত মাটির তৈরী পন্য ব্যবহার কমে যাওয়ায় বাড়ছে ক্যানসার সহ নানা ধরনের মরন ব্যাধি। সরকার আমাদের উৎপাদিত পন্যর আধুকায়ন করারা ক্ষেত্রে ঋণ সহায়তাসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করলে একদিকে যেমন পরিবেশ রক্ষা পাবে, অন্যদিকে এ পেশায় কর্মসংস্থান বারবে। করোনা কালে এশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকার সহ জনপ্রতিনিধিদের নজরদারী প্রয়োজন।