কমনওয়েলথের অবশ্যই রাণী এলিজাবেথের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখা উচিৎ
প্রকাশ : 2022-09-17 10:38:58১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কমনওয়েলথের জন্য বহু বছর ধরে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের নিবেদিত সেবার স্মরণে সংস্থাটির অবশ্যই কিছু করা উচিত।
কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের বাসভবনে তার সাথে বৈঠককালে এ কথা বলেন তিনি।শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সাবেক রানিকে একজন ‘মাতৃতুল্য ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং রানির সাথে তার ব্যক্তিগত স্মৃতিসমূহ স্মরণ করেছেন।
কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল কমনওয়েলথের প্রতি তার অবিচল প্রতিশ্রুতির জন্য রানির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং প্রধান হিসেবে রাজা তৃতীয় চার্লস রানির উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে তিনি আস্থা প্রকাশ করেন।
চলতি বছরের জুনে রুয়ান্ডায় কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে মহাসচিব হিসেবে পুননির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু বিকাশ, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই ও সহিংস চরমপন্থা মোকাবেলায় শেখ হাসিনার অবদানের প্রশংসা করেন।
তিনি আবারো কোভিড-১৯ মহামারী সফলভাবে মোকাবেলা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং উল্লেখ করেন যে কমনওয়েলথ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে এই সঙ্কটের সময় তারা বেশি ভালো করেছে, যেগুলোর নেতৃত্বে নারীরা ছিলেন বা সিদ্ধান্ত প্রণয়নে নারীর অংশগ্রহণ ছিল।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে কমনওয়েলথ পরিবারের নারী নেতৃত্ব বিশ্বসভায় তুলে ধরার বিষয়ে মহাসচিবের দেয়া পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মত হয়েছেন। তিনি আগামী বছর স্মারক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘শান্তির বছর’ ও ‘তারুণ্যের বছর’ পালন করতে কমনওয়েলথের সাথে অংশীদার হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রকৃতি সংরক্ষণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কমনওয়েলথের ‘লিভিং ল্যান্ডস’ উদ্যোগে ভূমিকার রাখার আহ্বান জানান কমনওয়েলথ মহাসচিব। সংস্থাটির ‘ব্লু চার্টার’-এ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেয়ার কথাটিও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
কমনওয়েলথের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের প্রস্তাব মেনে পারস্পরিক ব্যবসায়িক সম্পর্কের উন্নয়নে কমনওয়েলথ কাজ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।