কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ পেলেন সম্মাননা ক্রেস্ট
প্রকাশ : 2022-03-04 09:48:18১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ পেলেন সম্মাননা ক্রেস্ট গত সোমবার, বিকেল পাঁচটায় এক বিশেষ কবিতাপাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হাসুমণির পাঠশালা।
শাহবাগে পাঠশালার প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ আসরে কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ’র হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বাংলা একাডেমির মহা পরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, একাডেমির ফেলো ও বিশিষ্ট লেখক গোলাম কুদ্দুস ও হাসুমণির পাঠশালার সভাপতি মারুফা আক্তার পপি।
সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয় কবি মুহম্মদ নূরুল হুদাকেও। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন মোঃ মোফিজুর রহমান। শুরুতে অতিথিদের ফুলের তোড়া উপহার ও বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর উত্তরীয় পরিয়ে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। ‘একুশ মানে মাথা নত না করা’ এই প্রত্যয়ে আয়োজিত এই কাব্য পাঠের অনুষ্ঠানের সভাপতি মারুফা আক্তার পপি উপস্থিত বন্ধুদের সাথে একে একে অতিথিদের পরিচয় করিয়ে দেন।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। তিনি তাঁর বক্তব্য ‘হাসুমনির পাঠশালা’কে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেবার আহ্বান জানান। বিশ্বের দেশে দেশে বাংলা কবিতাকে ছড়িয়ে দেবার হাসানআল আব্দুল্লাহ’র প্রচেষ্টাকে তিনি স্বাগত জানান। জনাব গোলাম কুদ্দুস ভাষা আন্দলনে বঙ্গবন্ধুরর নেতৃত্বের নানা দিক তুলে ধরেন। কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ হাসুমনির পাটশালার প্রতি কৃতজ্ঞতা জনিয়ে বলেন যে তিনি বহু আগে থেকেই এই পাঠশালার ছাত্র।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া কালীন ছাত্র রাজনীতির সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকার কথা উল্লেখ করে নব্বইয়ের গণ আন্দোলয়ে ঢাকায় প্রথম আহত ছাত্র হিসেবে তাঁর তখনকার দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি এখন বিশ্ব রাজনীতির সাথে জড়িত, যে রাজনীতির মূল লক্ষ্য বাংলার কবিতা অনুবাদের মাধ্যমে বাঙালী সংস্কৃতিকে বিশ্বের দেশে দেশে তুলে ধরা। তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতায় বঙ্গবন্ধু’ থেকে তিনি দু’টি কবিতা পড়ে শোনান। হাসুমনির পাঠশালার বেশ কয়েকজন সদস্যও কবিতা পড়েন। বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী খাবারের আয়োজনে অনুষ্ঠানে আগত সকলেই মুগ্ধ হন। উপস্থাপনায় ছিলেন তরুণ কবি অনিকেত রাজেস।