এবার কেউ বলতে পারবে না, দিনের ভোট রাতে হয়েছে: শেখ হাসিনা
প্রকাশ : 2024-01-10 18:40:18১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
২০১৮ সালের নির্বাচন আগের রাতে হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হলেও এবারের নির্বাচনে সেটার কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছ হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ক্ষমতাসীন দল এই জনসভার আয়োজন করে। টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় ফেরার পর এটাই আওয়ামী লীগের প্রথম জনসভা। এটি কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়। নেতাকর্মীদের চোখে-মুখে ছিল আনন্দ আর উচ্ছ্বাস।
শেখ হাসিনা বলেন, 'এবারের নির্বাচনে কেউ বলতে পারবে না যে, রাতে ভোট দিয়েছে, দিনের ভোট রাতে দিয়েছে, ভোট কারচুপি হয়েছে, তা বলার কোনো ক্ষমতা নেই।'
সরকারপ্রধান বলেন, 'অত্যন্ত স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ নির্বাচন এইবার অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেটা আপনারা দেখেছেন। আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশন আইন করে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করে আমরা নির্বাচন পরিচালনা করতে দিয়েছি। কোনো রকম হস্তক্ষেপ আমরা করিনি, সহযোগিতা করেছি।'
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করেনি দাবি করে টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সেই সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, প্রশাসন থেকে শুরু করে সবকিছুই নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত। যেন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়। আমরা কখনো হস্তক্ষেপ করিনি।'
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর, প্রশাসনের কর্মকর্তা, সশস্ত্র বাহিনীসহ যারা নির্বাচন কমিশনকে সর্বোতভাবে সহযোগিতা করেছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে। তাদের সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।'
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, 'অনেকেরই অনেক রকম স্বপ্ন আছে, অনেকেই নির্বাচন বন্ধ করতে চেয়েছিল, ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনে মানুষ যাতে ভোট দিতে না আসে সেটা ঠেকাতে চেয়েছিল, তারপরেও ৪১.৮ ভাগ ভোট পড়েছে সাধারণ নির্বাচনে। এটা সোজা কথা না, খুবই বড় কথা।'
যারা এবারের ভোট নিয়ে প্রশ্ন তোলে তাদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার অবাক লাগে সামরিক একনায়করা যখন ভোট কারচুরি করে ক্ষমতায় আসে, সেই নির্বাচন নিয়ে কেউ কথা বলতো না। যখন নির্বাচন মানে ছিল ১০টা হোন্ডা ২০টা গোণ্ডা নির্বাচন ঠান্ডা। আমরা যখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি তখনই আমাদের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমার দুঃখ লাগে, যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর মেলিটারি ডিক্টেটররা ক্ষমতা দখল করে তখন তারা (গণতন্ত্র নিয়ে সোচ্চার ব্যক্তিরা) কিছু বলেনি। কিন্তু যখন দেশের গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রেখে নির্বাচন করা হয়েছে তা নিয়ে কথা বলে। কিছু মানুষ চায় অনির্বাচিত সরকার আসুক। আমার বাবা-মাকে যখন হত্যা করা হয় তখন বিচার চাওয়া অধিকারটুকুও ছিল না।’
বিএনপি নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে লিফলেট বিতরণ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ এবং আমাদের সমমনা দল যখন নির্বাচন করেছে আরেকটি দল তখন নির্বাচন ব্যাহত করার চেষ্টা করেছে।' তবে সেই চেষ্টায় বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে সরকারপ্রধান বলেন, তাদের আর রাজনৈতিক কোনো ভবিষ্যৎ নেই।
বিএনপিকে দেশবাসী ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রত্যাখ্যান করেছিল, আর গ্রহণ করেনি বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ প্রধান। তিনি বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগ আজকে ক্ষমতায় আছে বলেই আজকে বাংলাদেশে যে অগ্রযাত্রা সেই অগ্রযাত্রা আর কেউ ব্যাহত করতে পারবে না।'
ই