এনজিও ঋনের মামলায় নিরপরাধ নারী গ্রেফতার
প্রকাশ : 2024-06-27 16:33:59১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
কাউনিয়ায় এনজিরও ঋণখেলাপী মামলায় এক নারী আসামীর পরিবর্তে নামের মিল থাকায় নিরপরাধ অন্য এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার অভিযুক্ত আসামীর নাম ঠিকানা যাচাই না করে নিরপরাধ এক শিশু সন্তানের জননী নারীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় কাউনিয়া থানার এসআই রবিউল ইসলাম। ভুক্তভোগী নারী উপজেলা কুর্শা ইউনিয়নের পুর্বচান্দঘাট গ্রামের আজিজুল ইসলামের মেয়ে শারমীন আক্তার (৪০), যার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার ১৯১৪৮৬৯৭৬১, স্বামী সেকেন্দার আলী।
শারমীন আক্তার জানায়, গত ২২ জুন শনিবার পরিবারের লোকজন নিয়ে বেইলী ব্রিজ বাজার আসেন। বিকেলে হঠাৎ করে কাউনিয়া থানা পুলিশের একটিদল তাকে ঘিরে ফেলে। পরে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তিনি আটকের বিষয়টি জানতে চাইলে পুলিশ তাকে জানায় তার বিরুদ্ধে ঋণখেলাপী মামলার পরোয়না আছে। শারমীন আক্তার বলেন, তিনি আজ পর্যন্ত কোথাও কোন ঋণ করেন নাই। তার নামে ঋণখেলাপী মামলা নেই বলার পরও তাঁর কোন কথা কর্নপাত করেনি পুলিশ। এমনকি স্বজনরে সাথে কথাও বলতে দেওয়া হয়নি তাকে। অথচ পুলিশ হয়রানি করে তাকে বিনা অপারাধে ওই নারীকে জনবহুল বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় এবং পরে আদালতে সোর্পদ্দ করে। পরে তিনি আদালতে থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন।
তিনি জানান, তার বাড়ী পুর্বচা›ঘাট গ্রামে আর মামলার মুল আসামীর বাড়ী শিবু বাগবাড়ি এলাকায়। মুল আসামীর পিতা মাতার নামের সাথেও তাদের নাম ঠিকানা মিল নাই। তিনি এ ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দোষ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনি পক্ষেপ নেয়ার দাবী জানান। কাউনিয়া থানা পুলিশের এসআই মামলার প্রকৃত আসামী মমতাজকে গ্রেফতার না করে শারমীন আক্তারকে আটক করে। পরে এনজিরও ঋণখেলাপী মামলায় শারমীন আক্তারকে মমতাজ বেগম সাজিয়ে তাকে আদালতে সোর্পদ্দ করে। এ ব্যাপারে এসআই রবিউল ইসলামের সাথে তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই নারী মামতাজ নামে এলাকায় পরিচিত। জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি মমতাজ নাম ঠিক আছে বলে জানান। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম ঠিকানা মুল আসামীর নাম ঠিকানার সাথে গড়মিল রয়েছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ওই নারীর জাতীয় পরিপত্র চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি দেখাতে অপরাগতা প্রকাশ করায় যাচাই করা সম্ভব হয়নি। কাউনিয়া থানার ওসি মাহফুজার রহমান বলেন, ওই নারীর সাথে পুলিশের কোন শত্রুতা নাই। মমতাজের বিরুদ্ধে আদালত পরোয়ানা জারী করে। তাকে আটকের পর তার কাছে জাতীয় পরিপত্র দেখতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই নারী দেখাতে পারে নাই। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। আদালতে থেকে ওই নারী জামিনে এসেছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। পুলিশের এমন কান্ডে হতবাগ সাধারণ মানুষ।
সান