এতো চা যায় কোথায় খুঁজে বের করুন

উত্তরবঙ্গের উৎপাদিত চা অর্ধেকের হদিস নেই। পঞ্চগড়ে এসে এক মত বিনিময় সভায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন।তিনি মঙ্গলবার চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে  অনুষ্ঠিত চা চোরাচালান রোধ ও উত্তরাঞ্চলের চাষ শিল্পের উন্নয়নে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলীর সভাপতিত্বে তিনি ওই মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন,  পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি, চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ খান, প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, চা বোর্ডের সদস্য ড. পীযূষ দত্ত,পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈয়দপুর সেনানিবাসের ২৯ বীর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ইউসুফ চৌধুরী, চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির হোসেন, বাংলাদেশ স্মল টি ওনার্স এন্ড টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি, বিডার, বায়ার, কুরিয়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি ও অংশীজনরা।

চা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন অবৈধ পন্থায় যে সব কারখানা চা পাচার করবে সে সব কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এসব চা কোনো না কোনো ভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই চা যায়। তিনি বলেন এসব চা তো বিমানে যায়না। তবে কি ওহী নাযিল হয়েছে ! কি , চা কোথায় যায় তা খুজেঁ বের করুন। এ চা তো মঙ্গল গ্রহে যায়না।তিনি বলেন এতো দিন তো জরিমানা করা হয়েছে ‘এখন অবৈধ ভাবে চা পাচার করলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে’। প্রয়োজনে আগামী বছর চা বোর্ড নিজেইরা চা কিনবে’। এরপর এসব চা পাতা চা বোর্ড নিজেরাই কারখানায় সরবরাহ করবে’। চা কেনার জন্যআগমী বছর কয়েকটি চা ক্রয়  কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। তিনি বলেন প্রয়োজনে মান নিয়ন্ত্রনে আমরা বাগানে গিয়ে নিজেরাই চা পাতা কিনবো’।মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন চাষীকে অবশ্যই মান সম্মত চা পাতা সরবরাহ করতে হবে।

চা বোর্ড চেয়ারম্যান  বলেন, সমতলের অর্ধেক চা নিলাম বাজারে যায় না। সেগুলো তো কুরিয়ারের মাধ্যেমে বা ট্রাকে করেই যায়। একই সাথে অন্যদিকে চা শিল্পের উন্নয়নে টি টেস্টের ক্ষেত্রে ব্লাইন্ড টি টেস্ট  সিস্টেম চালুর পরিকল্পনা করছি আমরা।  চেয়ারম্যান বলেন চা খাতে যারা এসব অনিয়ম করছেন সামান্য লোভে পড়ে করছেন। আপনারা (কারখানার মালিক) সরকারের ক্ষতি করবেন না। আপনারা যদি বলেন কাগজপত্র ছাড়া চা পাঠাবো না তবে সব ঠিক হয়ে যাবে। প্রয়োজনে আমরা হার্ট লাইনে যাবো। এর পর যদি দেখি চা পাচার করছেন তাহলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে।তিনি বলেন চা পাতা খারাপ বা ভালো হলে ও চা চাষীদের ঘুরাচ্ছেন। তারপরেও এ চা কোথায় যায়’।তিনি আরো বলেন কাগজপত্র ছাড়া কোনো চা পাতা পাঠানো থেকে বিরত থাকতে কুরিয়ার সার্ভিস ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।