উড়িষ্যায় বন্যা, সরিয়ে নেওয়া হলো ১১ হাজার মানুষ

প্রকাশ : 2024-09-19 13:05:23১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

উড়িষ্যায় বন্যা, সরিয়ে নেওয়া হলো ১১ হাজার মানুষ

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য উড়িষ্যায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এর কারণে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে হয়েছে ১১ হাজারের বেশি মানুষকে।

মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি আকাশপথে বালাসোর জেলার বন্যাকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোতে বসবাসকারী মানুষদের উদ্ধার ও প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

গভীর নিম্নচাপের কারণে উত্তর উড়িষ্যা এবং সুবর্ণরেখা নদী সংলগ্ন এলাকায় গত কয়েকদিনে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে এসব এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বালিয়াপাল, জলেশ্বর এবং ভোগরাই গ্রাম। এসব এলাকা পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, এনডিআরএফের একটি, ওডিআরএএফের তিনটি এবং ফায়ার সার্ভিসের আটটি দলকে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনকে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা ত্বরান্বিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, অন্তত ৩৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা এখনো পানিবন্দি এবং তাদের সহায়তা করার চেষ্টা চলছে।

কর্তৃপক্ষ বলেছে, বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট প্রবল বৃষ্টিপাতে সুবর্ণরেখা, বুধবালাং এবং জলকা নদীর পানি উপচে পড়ছে। এর কারণেই এমন ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

তবে বন্যায় রাজ্যটিতে এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। তিনি বলেছেন, বন্যায় অন্তত আট হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে, স্থানীয় পানিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজঘাটে সুবর্ণরেখা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিশেষ ত্রাণ কমিশনারের কার্যালয় একটি প্রতিবেদনে বলেছে, বালাসোর জেলার ১৪১টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ায় ১১ হাজার ৬৩২ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার ৫১টি বিনামূল্যের রান্নাঘর খুলেছে এবং সরিয়ে নেওয়া লোকদের রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।

একইভাবে, পার্শ্ববর্তী ময়ুরভঞ্জ জেলার ১০১টি গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করায় অন্তত ১ হাজার ৬০৩ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কেওনঝার এবং সুন্দরগড় জেলাতেও বন্যার খবর পাওয়া গেছে।

 

সান