উন্নত বাংলাদেশের চাবিকাঠি ২০২৪ সালের মেগা প্রকল্প
প্রকাশ : 2024-01-01 14:48:09১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
২০২৩ পেরিয়ে ২০২৪ সাল এসে গেছে। ২০২৩ সাল ছিল বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পের জন্য সফল একটি বছর। ২০২৪ সালে কয়েকটি মেগা প্রকল্পের সুবিধা পেতে যাচ্ছে দেশবাসী। এসকল প্রকল্প ব্যায়বহুল হলেও এর ফলাফল সুদূরপ্রসারী। ডিজিটাল একটি দেশের অন্যতম উপাদান এই প্রকল্পগুলো। তার মধ্যে অন্যতম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ২.৪ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পরিকল্পিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যা বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর নামক স্থানে নির্মীত হচ্ছে। এটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকার বেশি অর্থায়নে রাশিয়ার রোসাটোম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্মিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর ব্যবহারের দ্বারপ্রান্ত খুলে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এর প্রথম ইউনিট চালু হবে। দেশের উত্তরাঞ্চলে ১৩ টি জেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে। ২০২২ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপদ্বীপে চালু হয়েছে দেশের ৬ষ্ঠ বিদ্যুতকেন্দ্র মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। জাপানের সাহায্যে ১৬০০ একরের পরিত্যাক্ত লবণমাঠে গড়ে উঠেছে এই বিশাল প্রকল্প। মোট ১২০০ মে.ও. বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম এই বিদ্যুতকেন্দ্র । ইতোমধ্যে ২০২৩ সালে ১ম ইউনিটের সরবারাহ শুরু হয়ে গেছে। ২০২৩ সাল নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেন। ২০২৪ সালের এপ্রিলে ২য় ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। এতে গভীর সমুদ্র চ্যানেলের উপযুক্ত ব্যবহারে উপকৃত হবে কক্সবাজার, মহেশখালীর জনগণ।
২০২৩ সালে বাংলাদেশের রেল ইতিহাসে আমুল পরিবর্তন ঘটেছে। ভাঙ্গা ও কক্সবাজার রেলসংযোগ বাংলাদেশের মানুষের কাছে মাইলফলক হয়ে থাকবে। ২০২৪ সালে রেলপথে সংযুক্ত হতে যাচ্ছে যমুনা বঙ্গবন্ধু রেলসেতু। এটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের দীর্ঘতম ডুয়েল গেস ডাবল ট্র্যাকার রেলসেতু। জাপানের সাহায্যে দেশে প্রথমবারের মত তৈরি হচ্ছে স্প্যানের উপর সরাসরি বসানো জাপানী রেললাইন প্রযুক্তি। এর ফলাফল ভোগ করবে উত্তরবঙ্গের কোটি মানুষ। ২০২৪ আগস্টে এর কাজ সম্পন্ন হবে। ১৭ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্টে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থায়ন করেছে জাইকা। ২০২০ সালে এর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০২৩ সালে উদ্বোধন হয় পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলওয়ে। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত বর্ধিত হবে রেলসেবা। এরপর ঢাকা থেকে পদ্মাসেতু দিয়ে সরাসরি কলকাতা যাবে খুলনা এক্সপ্রেস। এতে করে মাত্র ২ ঘন্টায় ঢাকা থেকে যশোর ও ৩ ঘন্টায় কলকাতা পৌছানো সম্ভব।
শুধু রেলপথ নয় আকাশপথেও শুরু হয়েছে ডিজিটালাইজেশন। ইতোমধ্যে বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সে আরো দশটি উড়োজাহাজ সংযুক্ত করার ঘোষণা এসেছে। আর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমনবন্দরে নতুন মাত্র যুক্ত করেছে তৃতীয় টার্মিনাল। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করবে এই নতুন টার্মিনালটি। তাছাড়া এ বছরই জাপানের সাহায্যে ২১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে নির্মাণ কাজ শুরু হবে ডিপেন্ডেবল রানওয়ের কাজ।
একই চলমান ধারা অব্যাহত আছে কক্সবাজার রানওয়ের ক্ষত্রেও। ২০২৪ সালের মধ্যে এর কাজ সম্পূর্ণ শেষ হবে। এটিই হতে যাচ্ছে, দেশের দীর্ঘ রানওয়ে-সংবলিত বিমানবন্দর।
এইসকল প্রকল্পের আওতায় দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হবে। দূর হবে বেকারত্ব, বর্তমানেও এসকল প্রকল্পে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে হাজার হাজার শ্রমিক।
সান