উদ্বোধনের পরেও চালু হয়নি ২৫০ শয্যার ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল
প্রকাশ : 2024-01-29 16:57:47১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল চত্বরে ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৫০ শয্যার ৯ তলা ভবনের হাসপাতাল উদ্বোধন করা হলেও শুরু হয়নি চিকিৎসাসেবা। জটিল কোনো রোগদেখা দিলে এখনো ঝালকাঠিবাসীকে যেতে হচ্ছে বিভাগীয় শহর বরিশালে।সাড়ে পাঁচ বছর ধরে হাসপাতালটির অবকাঠামোর কাজ চলছে। ৩ মাস আগে করা হয়েছে উদ্বোধন অনুস্থান। আগামী জুনের মধ্যে ভবনটিতে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরুর কথা জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর ২৫০ শয্যার ৯ তলা ভবনের হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। উদ্বোধনের তিন মাস অতিবাহিত হলেও এখনো সেখানে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম শুরু হয়নি। ১৮ মাসের কাজ শেষ হয়নি সাড়ে পাঁচ বছরেও। বার বার প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। মাঝে নানা অজুহাতে কয়েক দফায় কাজ বন্ধও রেখেছিল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কার্যাদেশ অনুযায়ী ১৮ মাসে কাজ শেষ করার নির্দেশনা রেখে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ৩৪ কোটি ৮০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৫০ শয্যার ঝালকাঠি সদর হাপাতালের ১১ তলা ফাউন্ডেশনের ছয় তলা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কার্যাদেশ অনুযায়ী দেড় বছরে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখনো অসম্পূর্ণ। পরে দফায় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়িয়েও চার বছরের মাথায় পুরো কাজ শেষ না করেই গত বছরের ১৭ অক্টোবর হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু তা কেবল কাগজে-কলমেই আছে। এখনো ভবনটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। তড়িঘড়ি করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হলেও চালু হয়নি চিকিৎসাসেবা। এখনো হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ চলছে। চিকিৎসা সেবার উন্নত যন্ত্রপাতির কিছুই স্থাপন হয়নি। এখনো স্থাপন করা হয়নি আইসোলেশন ইউনিট, সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ, অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার ও লিফট। ফলে কোনো সুফল মিলছে না এ প্রকল্প থেকে। জটিল কোনো রোগে এখনো ঝালকাঠিবাসীকে যেতে হচ্ছে বিভাগীয় শহর বরিশালে। সাড়ে পাঁচ বছর ধরে অবকাঠামোর কাজই চলছে।
২০১৮ সালের ১১ আগস্ট তৎকালীন শিল্প মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু ১০০ শয্যা সদর হাসপাতাল চত্বরে ২৫০ শয্যার নতুন ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচির আওতায় জেলা সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যা হতে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় এ প্রকল্প গ্রহণ করে গণপূর্ত বিভাগ। ২৫০ শয্যা হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হলে জেলার আট লাখ মানুষ এখান থেকে আধুনিক চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে পারবে।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদ বলেন, নির্মাণ সামগ্রী ও যন্ত্রপাতির মূল্য বৃদ্ধিসহ নানা জটিলতার কারণে নির্মাণ কাজে বিলম্ব হয়েছে। আগামী জুন মাসে হাসপাতালটিতে সেবা কার্যক্রম চালু হবে।
সা/ই