উদ্দাম নৃত্যের ভিডিও ফাঁস, মাদক টেস্ট করালেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী (ভিডিও)
প্রকাশ : 2022-08-20 09:39:20১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনের পার্টি করার ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপক তোলপাড় চলছে দেশটিতে। ফাঁস হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনি দেশটির কয়েক জন সেলিব্রেটি ও তার বন্ধুদের সঙ্গে নাচছেন ও গান গাইছেন। এই ঘটনায় বিরোধী দলগুলোর তোপের মুখে পড়েছেন সানা মারিন। এক বিরোধী নেতার দাবি, তার ড্রাগ টেস্ট করা উচিত। তবে ৩৬ বছর বয়সি প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন মাদক নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি শুধু অ্যালকোহল পান করেছিলেন পার্টিতে।
শেষপর্যন্ত ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন জানিয়েছেন, তিনি মাদক পরীক্ষা করিয়েছেন। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজে এ কথা বলেছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন সানা মারিন। দায়িত্ব নেওয়ার সময় বিশ্বের সবচেয়ে কনিষ্ঠ সরকার প্রধান ছিলেন তিনি। এখন এই খেতাব চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বরিকের দখলে। সানা মারিন খুব স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পছন্দ করেন। পার্টি করার কোনো তথ্য গোপন রাখেন না তিনি এবং প্রায়ই সংগীত উত্সবে তাকে দেখা যায়। গত বছর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পর ক্লাবে গিয়ে পার্টি করার কারণে তিনি ক্ষমাও চেয়েছিলেন। সম্প্রতি জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ড মারিনকে বিশ্বের আকর্ষণীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিহিত করে।
ফাঁস হওয়া ভিডিও নিয়ে বৃহস্পতিবার এক মন্তব্যে ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভিডিও করার কথা জানতেন তিনি। কিন্তু ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় হতাশ হয়েছেন তিনি। সানা মারিন বলেন, ‘আমি নেচেছি, গান গেয়েছি এবং পার্টি করেছি—এগুলো আইনসম্মত। কিন্তু আমি কখনো এমন পরিস্হিতিতে ছিলাম না যখন আমি কাউকে দেখেছি বা চিনি যারা মাদক ব্যবহার করে।
দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা রেখে পার্টি করা নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে। তবে ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার একটি পারিবারিক জীবন, একটি কর্মজীবন রয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গে কাটানোর মতো সময় আমার আছে। যা আমার বয়সি এক জন মানুষের প্রয়োজন।’
তিনি আরো বলেন, আচরণে পরিবর্তন করার কোনো প্রয়োজনীয়তা তিনি অনুভব করছেন না। সানা মারিন বলেন, এখন পর্যন্ত আমি যেমন মানুষ আছি সেটিই থাকব এবং আশা করি তা গ্রহণযোগ্য হবে সবার কাছে।’ এদিকে, বিরোধীদলীয় নেতা রিকা পুরা দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর উচিত স্বেচ্ছায় ড্রাগ টেস্ট করা। কারণ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহ আরো ঘনীভূত হচ্ছে। বিবিসি।