ঈদের পর অস্থির হয়ে উঠেছে কাঁচা বাজার
প্রকাশ : 2024-04-21 17:38:49১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ঈদের পর আবারো বাড়তে শুরু করেছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। মাছ, মাংস ও তেলের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ছে আলু পেয়াজ ও রসুনের দাম। মাত্র ১০দিনের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫-২০ টাকা। অন্যদিকে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১২-১৫, রসুনের দাম বেড়েছে ৪০-৫০ টাকা। ঈদের পর হঠাৎ আলু-পেয়াজ-রসুনের দাম বাড়ার সঠিক কোন কারণ বলতে পারেনি ব্যবসায়ীরা। তবে বাজার করতে এসে দাম শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ ক্রেতারা।
সরেজমিনে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়, যেটা আগে ছিলো ৩০-৩৫ টাকা কেজি। ১০ দিনের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা রসুন বাজারে প্রতি কেজি ১৬০-২০০ টাকা যা আগে ছিল ১২০-১৩০ টাকা। অপরদিকে পেঁয়াজের বাজারে একই অবস্থা। এখন বাজারে পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। এ সময় সানাই মোড়ের কাচা মাল বিক্রেতা আফসার আলী বলেন, এখন আমাদের আলু প্রতি মন ১৭৬০ টাকায় কিনতে হয়। এর মধ্য নানা ধরনের খরচ রয়েছে। এ দামে বিক্রি করলে আমাদের লোকসান হয়ে যায়। আলুর দাম কম হলে আমাদের বেচা-কেনা বেশি হয় এবং আমাদের লাভ হয়। আমরাও ক্রেতাদের কাছে কম দামে আলু বেচতে পারি। আরেক বিক্রেতা শরীফুল বলেন, এখন বাজারে পেঁয়াজ রসুনের আমদানি কম। অনেক আড়তদার পেঁয়াজ রসুন স্টক করে রাখা শুরু করেছে। সে জন্য বাজারে পেঁয়াজ রসুনের সংকট দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে আমরা পিঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। এখন আমাদের প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজারে সবজি কিনতে আসা হুমায়ুন কবির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিভিন্ন অজুহাতে বিক্রেতারা নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এসে দেখি আলু ও পেঁয়াজ রসুনের দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। উপায় না পেয়ে কম পরিমাণে কিনতে হচ্ছে। আরেক ক্রেতা চাকুরিজীবী নাজমুল হাসান বলেন, গত সপ্তাহে বাজারে যে আলুর দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা কেজি, এখন সেই আলু বাজারে ৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। নিত্যপন্যের দাম বাড়ে, আমাদের বেতন তো বাড়ে না। সিন্ডিকেট বাজারে একেক সময় একেক পন্যের দাম হুট-হাট করে বাড়িয়ে দেয়। আমার মত সাধারণ মানুষেরা নিত্যপণ্যের বাজারের লাগাম টানতে গিয়ে সর্বহারা হয়ে যাচ্ছে। ভোক্তা অধিকার বাজার কি মনিটরিং করে তা বুঝে আসে না। দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতিতে সঞ্চয় ভেঙ্গে ভেঙ্গে খেতে হচ্ছে। দরিদ্র দিন মজুরদের নিদারুন কষ্টে পড়তে হচ্ছে। বাজারে সরকারের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে বিজ্ঞমহল মনে করছেন।
সান