ইলন মাস্কের হাতে টুইটার, বরখাস্ত করলেন শীর্ষ কর্মকর্তাদের
প্রকাশ : 2022-10-28 10:16:21১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ইলন মাস্ক টুইটার কিনতে চাইছেন, এমন খবর নেটিজেনদের মুখে মুখে চলতি বছরের এপ্রিল থেকেই। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে টুইটার কেনার পরিকল্পনা থেকে সাময়িকভাবে সরেও এসেছিলেন ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠাতা টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এরপর নানা জল্পনা শেষে তার নিয়ন্ত্রণে এলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি।
অনেক নাটকীয়তার পর ৪৪ বিলিয়ন (৪ হাজার ৪০০ কোটি) ডলারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার কিনে নিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক।স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি।
ইলন মাস্ক টুইটার কিনতে চাইছেন, এমন খবর চলতি বছরের এপ্রিল থেকেই নেটিজেনদের মুখে মুখে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে টুইটার কেনার পরিকল্পনা থেকে সাময়িকভাবে সরেও এসেছিলেন ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠাতা টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। এরপর নানা জল্পনা শেষে তার নিয়ন্ত্রণে এলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দায়িত্ব নিয়েই টুইটারের শীর্ষস্থানীয় তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন ইলন মাস্ক।এ ধনকুবেরের অভিযোগ, মাইক্রোব্লগিং সাইটটি নিয়ে তার উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন, সে বিষয়টি সামান্য খোলাসা করার পাশাপাশি তাকে বিভ্রান্ত করেছেন বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা।
টুইটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইলন মাস্ক বলেছেন, তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে স্প্যাম বট দেখতে চান না। মাধ্যমটিকে ঘৃণা ও বিভাজনের কেন্দ্র হওয়া থেকেও রক্ষা করতে চান। যদিও এসব পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে এবং কারা কোম্পানিটি চালাবেন, তার বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
টুইটারে কর্মীছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন ইলন মাস্ক। তার এ ঘোষণায় চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছেন প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কর্মী। বিশ্বের শীর্ষ ধনী বৃহস্পতিবার বলেছেন, লাভের জন্য টুইটার কিনেননি; মানবতাকে সাহায্য করতে চান, যাদের তিনি ভালোবাসেন।
ঘনিষ্ঠ কিছু সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, দায়িত্ব গ্রহণের পর টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিওও) নেড সেগাল এবং আইন ও নীতিবিষয়ক প্রধান বিজয় গাড্ডেকে বরখাস্ত করেন মাস্ক।
সূত্রগুলোর ভাষ্য, টুইটার কেনার চুক্তি চূড়ান্তের সময় সান ফ্রান্সিসকো কার্যালয়ে ছিলেন আগরওয়াল ও সেগাল। তাদের সেখান থেকে বিদায় জানানো হয়েছে।
বরখাস্তের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হননি টুইটারের কোনো কর্মকর্তা, ইলন মাস্ক কিংবা তিন নির্বাহীর কেউই।