আদমদীঘি আইপিজে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালিন শিক্ষক-কর্মচারিদের মানবেতর জীবনযাপন
প্রকাশ : 2025-09-16 18:37:08১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক

বগুড়ার আদমদীঘি আইপিজে (পাইলট) উচ্চবিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষকের বিরোধীতার কারনে খন্ডকালিন ৬জন শিক্ষক ও কর্মচারিরা দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিয়েও দীর্ঘদিন যাবত তাদের পাওনা বেতন ভাতাদি না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। জরুরি ভিক্তিতে তাদের পাওনা পরিশোধের আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগি শিক্ষক কর্মচারীরা।
জানাযায়, আদমদীঘি আইপিজে (পাইলট) উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালিন শিক্ষক রুহুল আমিন, অফিস সহকারি বিশ^নাখ মোহন্ত ও উম্মে হাবিবা, আয়া আকলিয়া খাতুন ও পরিচ্ছন্ন কর্মি (সুইপার) রিনা বাঁশফোড়। দীর্ঘ দিন যাবত ওই প্রতিষ্ঠানে খন্ডকালিন হিসাবে চাকুরী করে আসছেন। তাদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ছাড়াও সরকারি ভাবে নির্বাচন কালিনসহ নানা কাজ করানো হয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বেতন ভাতাদি নিয়মিত প্রদান করা হতো। প্রাপ্ততথ্যে জানাযায়, খন্ডকালিন শিক্ষক রুহুল আমিনকে ২০২৪ সালের জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বর/২৫ পর্যন্ত ১৬ মাসের বেতন ভাতাদি প্রদান করা হয়নি। তেমনি অফিস সহকারি বিশ^নাথ মোহন্তকে জুন/২৪ থেকে ডিসেম্বর/২৪ মোট ৭ মাসের, উম্মে হাবিবাকে জুন/২৪ মাস থেকে মে/২৫, ১২ মাস এবং আয়া আকলিমা খাতুন ও পরিচ্ছন্ন কর্মিকে রিনা বাঁশফোড় জুন/২৪ সাল থেকে অদ্যবাদি ১৬ মাস যাবত কোন বেতন ভাতাদি প্রদান করা হয়নি। তাদের বেতন ভাতা প্রদানের জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি অফিসার মৌখিক নির্দেশ দিলেও বিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক বিরোধীতা করায় এখন পর্যন্ত তাদের বকেয়া বেতন দেয়া হচ্ছেনা। ফলে খন্ডকালিন শিক্ষকরা তাদের প্রাপ্য বেতন ভাতাদি না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বেতন ভাতাদি না পাওয়া শিক্ষক রুহুল আমিন, অফিস সহকারি বিশ^নাথ মোহন্ত ও উম্মে হাবিবা জানান, বিদ্যালয় কমিটি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নিকট বার বার বলা সত্বেও কতিপয় শিক্ষক বেতন প্রদানে বিরোধিতা করায় এখন পর্যন্ত বেতন ভাতাদি প্রদান করা হয়নি।
প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) প্রদীপ কুমার সাহা জানান, ম্যানেজিং কমিটির নির্দেশনা মোতাবেক খন্ডকালিন শিক্ষক ও কর্মচারিদের বেতন প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু হেনা মো: এনামুল হক, শিক্ষক বাছেতুন নেছা ও অভিভাবক সদস্য নজরুল ইসলাম এই তিন সদস্য বিশিষ্ট ক্রয় ও অর্থ বিষয়ক উপ-কমিটি করে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হলে তারা ১৫ দিনেও প্রতিবেদন জমা দেননি। ফলে তাদের বেতন প্রদানে জটিলতা দেখা দিয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রউফ জানান, খন্ডকালিন শিক্ষক কর্মচারিদের বেতন বকেয়া রাখার কোন বিধান নেই। বেতন প্রদান করবেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি সেখানে অন্যান্য শিক্ষকদের কোন ভুমিকা থাকার কথা নয়।
আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিশাত আনজুম অনন্যা জানান, খন্ডকালিন শিক্ষক কর্মচারিদের বকেয়া বেতন ছাড়াও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ব্যাপারে সমস্যা রয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে তার নিরশনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।