আদমদীঘির সফল উদ্যোক্তা ও হাঁস খামারী মানিক মন্ডল
প্রকাশ : 2024-05-23 19:14:21১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বগুড়ার আদমদীঘির সফল খামারী মানিক মন্ডল। তিনি গড়ে তুলেছেন হাঁসের খামার। চাকুরীর পেছনে না ছুটে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া,দেশের আমিষের চাহিদা পূরন করতে প্রায় দেড় যুগ মানিক মন্ডল প্রায় দেড় যুগ আগে বাড়ীর পাশে একটি হাঁসের খামার তৈরী করেন। তিনি এখন সফল ব্যবসায়ী। তার এই খামার এলাকায় সাড়া ফেলেছে। সঙ্গে ভাগ্যের দুয়ারও খুলেছে তার। তার দেখাদেখি লাভজনক এই পশু পালনে ঝুকেছেন অনেকেই। উপজেলার মালসন গ্রামের বাসিন্দা খামারী মানিক মন্ডলের বাবা দুলাল মন্ডল এক সময় হাটে বাজারে হাঁস মুরগী বেচাকেনা করতো। তার বাবার হাঁস মুরগী ব্যবসা দেখে ছোট বেলা থেকেই তার মাথায় চিন্তা ভাবনা আসে হাঁস খামার করার। আর সেই ভাবনা থেকেই ২০০৬ সালে ছোট পরিসরে হাঁস খামার তৈরী করেন। এরপর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মানিক মন্ডল তার খামারে প্রতি চালানে এক হাজার থেকে বারশত হাঁস প্রতিপালন করেন। এক দিনের হাঁসের বাচ্চা কিনে নিয়ে এসে তার খামারে লালন পালন শুরু করেন। তিন সপ্তাহ ধরে হাঁসের বাচ্চা গুলোকে ফিড খাওয়ানোর পর উম্মুক্ত পুকুর জলাশয়ে খাওয়ানোর পাশাপাশি ধানের গুড়া,চালের খুদ খাওয়ায়। তিন মাস হাঁস গুলো লালন পালন করে বিক্রির উপযুক্ত হলে বাজারজাত করে হাঁসগুলো। প্রতিটি হাঁস পাইকারি দরে ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০শত টাকা করে বিক্রি করেন খামারী মানিক মন্ডল। বর্তমানে মানিক মন্ডল নিজে নতুন একটি হাঁসের হ্যাচারী তৈরী করেছেন। তার হ্যাঁচারীতে কৃত্রিম ভাবে প্রজনন করে হাঁসের বাচ্চা ফুটানো শুরু করেছেন। উপজেলার মালসন গ্রামের খামারী মানিক মন্ডল বলেন,আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষে হাঁসের খামার গড়ে তোলা। তবে প্রথম দিকে একটু লোকসান গুনতে হয়েছে। এখন তার হাঁস খামারটি লাভজনক খাতে পরিনত হয়েছে। প্রতি বছর খামার থেকে প্রায় সকল খরচ বাদ দিয়ে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা লাভ হয়। তিনি আরো জানান,প্রতিটি খামারই দেশের অর্থনীতিতে যোগান দেয়া থেকে শুরু করে আমিষের চাহিদা পুরন করে আসছে। দ্রুত আমার মতো দেশের হাজার হাজার খামারীদের দিকে সরকারের সুদৃষ্টি দেয়ার পাশাপাশি প্রণোদনার আওতায় আনা প্রয়োজন। সরকার খামারীদের দিকে সুদৃষ্টি দিলে আমিষের চাহিদা পুরনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও হাজার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।