আদমদীঘিতে পৃথক পৃথক মামলায় গ্রেফতার দুই

প্রকাশ : 2024-10-17 17:01:19১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

আদমদীঘিতে পৃথক পৃথক মামলায় গ্রেফতার দুই

বগুড়ার আদমদীঘিতে হত্যার ভয় দেখিয়ে এক কিশোরীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে লালন বাঁশফোর (৪৬) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত লালন বাঁশফোর উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের চা-বাগান মহল্লার মৃত বিরণের ছেলে। 

জানা যায়, গত ৫মে গত রবিবার দুপুরে নিজ বাড়িতে একা ছিলো ওই কিশোরী। এসময় ঘর ঝাড়ু দেওয়ার জন্য লালন বাঁশফোর তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় ওই কিশোরীকে। পরে শয়ন ঘরে দরজা বন্ধ করে হলায় ছুরি ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে লালন বাঁশফোর এবং পরিবারে বলতে নিষেধ করে তাকে। এরপর আবারও ওই কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিক বার ধর্ষণ করে তিনি। কয়েক মাস পর গত রবিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে ওই কিশোরীর শারীরিক অবস্থা পরিবর্তন হলে মনে সন্দেহ জাগে পরিবারের লোকজনের। পরে তাকে নিয়ে এলাকার একটি পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে অন্তঃসত্ত¡া বলে জানায় চিকিৎসক। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে জিজ্ঞেসা করলে লালন বাঁশফোর নামের ব্যক্তির নাম বলে ওই কিশোরী।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে বগুড়ার আদমদীঘিতে প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় এক ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  বৃহস্পতিবার দুপুরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত শফিউল ইসলাম মাসুদ (২১) উপজেলার বশিকোড়া আকন্দপাড়া মোজাফ্ফর আলীর ছেলে।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বেশকিছু দিন ধরে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে যাতায়াতের পথে ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিত শফিউল ইসলাম মাসুদ। এতে ওই ছাত্রী প্রেমে রাজি না হলে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি দিয়ে আসতেন মাসুদ। গত সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে মাদ্রাসা থেকে বাড়ী আসার সময় মাদ্রাসার দ¶িন পার্শ্বে পাকা রাস্তা থেকে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক একটি অজ্ঞাতনামা সিএনজি গাড়িতে অপহরণ করে রাণীনগর আবাদপুকুরের দিকে নিয়ে যান শফিউল ইসলাম মাসুদ। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করে সন্ধ্যান না পেয়ে পুলিশের সহয়তা নেন। এরপর ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে গতকাল বুধবার রাতে নিজ বাড়ি বশিকোড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।