আদমদীঘিতে ওএমএস বন্ধ, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

প্রকাশ : 2022-05-29 19:47:30১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

আদমদীঘিতে ওএমএস বন্ধ, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

গত ১৬ মে থেকে হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওএমএসের চাল- আটা বিক্রয় কার্যক্রম। এমন অবস্থায় ওএমএসের চাল-আটা বিক্রয় বন্ধ থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন বিপাকে। উচ্চ মুল্যে চাল-আটা কিনতে গিয়ে তাদের নাভিশ্বাস অবস্থা। ফলে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে ওএমএসের চাল-আটার উপড় নির্ভরশীল নিম্ন আয়ের অধিকাংশ মানুষ। 

আদমদীঘি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, চাল ও আটার বাজার নিয়ন্ত্রনে রাখতে সরকার চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে সারা দেশের মত আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভা এলাকায় ওএমএস কার্যক্রম চালু করে। চারজন ডিলারের মাধ্যমে প্রতি দিন দেড় মেট্টিক টন করে ছয় মেট্টিক টন চাল ও এক মেট্টিক টন করে চার মেট্টিক টন আটা বিক্রয় করা শুরু হয়। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা এবং প্রতি কেজি আটা ১৮ টাকা দামে কিনতে পেরে হাফ ছেড়েছিল নিম্ন আয়ের মানুষ। কিন্তু ১৬মে থেকে হঠাৎ করেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওএমএস কার্যক্রম। ইরি-বোরোর ভরা মৌসুমে চাল-আটার উচ্চ মুল্যে নিয়ন্ত্রনে ওএমএস কার্যক্রম ফের কবে নাগাদ চালু করা হবে সে বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নিকট কোন ম্যাসেজ নেই বলে জানিয়েছেন। 

সান্তাহার পৌরসভার আট নং ওয়ার্ডের বস্তিতে বসবাস করা ফুরতন বেগম, আসমা বেগম, আসলাম হোসেন, মোসলেম উদ্দিন সহ অনেক নিম্ম আয়ের মানুষ বলেন, হঠাৎ করে কন্ট্রোলের (ওএমএস) চাল-আটা বিক্রি বন্ধ হবার পর আমরা বিপাকে পড়েছি। বাজার মুল্যের চেয়ে অর্ধেক দামে চাল-আটা পেয়ে তিন বেলায়-ই ভাত-রুটি খেতে পারতাম। কিন্তু গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে সেটা আর হচ্ছে না। তারা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, শেখ হাসিনা যদি তারাতারি করে আবার ওএমএসের চাল-আটা দিত তাহলে আবারো পেট ভরে ভাত-রুটি খেতে পারতাম।