আদমদীঘিতে আমনের মাঠজুড়ে সোনালী রঙে হাসছে আগাম জাতের ধান
প্রকাশ : 2025-10-26 18:13:13১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
এবার রোপা আমন মৌসুমে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় আগাম জাতের ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সবুজ থেকে সোনালী হয়ে উঠছে ধানের মাঠ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে অল্প কিছু দিনের মধ্যে কৃষকের ঘরে আসবে নতুন ধান। এ মৌসুমে ফসল রক্ষায় কৃষকদের নিয়ে মাঠপর্যায়ে নিয়মিত আলোক ফাঁদ, উঠান বৈঠক ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে উপজেলা কৃষি অফিস। ফলে এখন পর্যন্ত আমন ক্ষেতে তেমন কোনো রোগবালাই ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ নেই বললেই চলে। ফলে কৃষকরা আগাম জাতের ধানে কাঙ্কিত ফসলের চেয়ে অধিক ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন।
আদমদীঘি কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আমান ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। এবারে কৃষকরা ব্রি ধান৪৯, ব্রি ধান৭৫, ব্রি ধান৯০, ব্রি ধান৯৩, ব্রি ধান১০৩, স্বর্ণা-৫, পারিজা, হাইব্রিড-৫, বিনা-১৭, বিনা ধান ২৬ ও সুগান্ধসহ নানা জাতের ধান চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে এবারে আবাদ ভাল হয়েছে। ফলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ফসলের মাঠ এখন সবুজ থেকে সোনালী হয়ে উঠছে। অধিকাংশ ফসলী মাঠে বাতাসে দোল খাচ্ছে ধানের শীষ। সব মিলিয়ে কৃষকের মনে দোলা দিচ্ছে অন্যরকম এক আনন্দ।
উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের তিয়রপাড়ার গ্রামের কৃষক রুহুল আমীন, উপর পোঁওতা গ্রামের সোহানুল ইসলাম ও আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের ছোট জিনোইর গ্রামের সোহাগ হোসেন জানান, এ বছর আমন ক্ষেত এখন পর্যন্ত ভালোই রয়েছে। কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার আমনের আগাম জাতের ধানের বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রবিউল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ফসলের মাঠ ভালো রয়েছে। আমার বিশ্বাস আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গতবারের তুলনায় এবার আগাম জাতের ধানের বাম্পার ফলন হবে। সেই সাথে এবারের আগাম ধান কাটার পর সেসব জমিতে সরিষা চাষ করতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এজন্য আমরা প্রতিটি ব্লকে কৃষকদের এই পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।