আগামী নির্বাচনে ফাইনাল খেলা হবে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ : 2022-09-03 19:47:28১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

আগামী নির্বাচনে ফাইনাল খেলা হবে: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন মানেই নিজেরা নিজেরা মারামারি, চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি।

আজ শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার হটাবেন? দেখি-না জনগণ সাড়া দেয় কি না! এখনও কোথাও জনগণ সাড়া দেয়নি। জনগণ কারো সঙ্গে মারামারি করে না। আপনাদের আন্দোলন মানে হচ্ছে নিজেরা নিজেরা মারামারি, চেয়ার ছোড়াছুড়ি। আপনাদের বিক্ষোভ মানেই পুলিশের ওপর হামলা। তো পুলিশ আত্মরক্ষা করবে না?’

তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুলকে সতর্ক করে দিতে চাই। আপনাদের হাতে রক্তের অনেক দাগ। আমরা আপনাদের কাউকে হত্যা করিনি। হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি আমরা বিশ্বাস করি না।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের আন্দোলন আন্দোলন বলতে বলতে গলা শুকিয়ে গেছে। নেতাকর্মী ছাড়া বিএনপির সাথে জনগণের কোনো সংযোগ নেই। আগামী নির্বাচনে ফাইনাল খেলা হবে। নির্বাচনের মাধ্যমেই সবকিছুর ফয়সালা হবে।

বিএনপির হাতে রক্তের দাগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে বিএনপি। আহসানউল্লাহ মাস্টার, কিবরিয়া, আইভী রহমানকে হত্যা করেছে। চট্টগ্রাম থেকে জিয়ার লাশ ঢাকায় আনা হয়েছে কিন্তু সেই লাশ কেউ দেখেনি। মির্জা ফখরুল সাহেব লাশের একটা ছবি দেখাতে পারবেন? পারবেন না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের আইনের মাধ্যমে অব্যাহতি দিল, পুরস্কৃত করল, সে প্রশ্নের জবাব মির্জা ফখরুলরা আজও দেননি, দেবেনও না।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘কেন খুনিদের পুরস্কৃত করা হলো? কেন তাদের নিরাপদে বিদেশে পাঠানো হলো? আমাদের দূতাবাসে তাদের কেন চাকরি দেয়া হলো? এসব প্রশ্নের উত্তর তারা দেবেন না। কারণ, তারা সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পান।’

তিনি বলেন, ‘পলাশীর মতো ’৭৫-এ মীরজাফরের ভূমিকায় মোশতাক এবং ইয়ার লতিফের ভূমিকায় ছিলেন জিয়া। বিশ্বাসঘাতকদের ইতিহাস ক্ষমা করবে না।’

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন পারভেজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হাকিম সম্রাটের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সরকার রেফাত সঞ্জয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক আল-আমিন রহমান।