আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতার জন্য বিদেশিদের কাছে ধর্না দেয় না: কাদের

প্রকাশ : 2022-09-11 15:27:21১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতার জন্য বিদেশিদের কাছে ধর্না দেয় না: কাদের

ক্ষমতার জন্য আওয়ামী লীগ কখনও বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিদেশে আওয়ামী লীগের বন্ধু আছে, কোনও প্রভু নেই।’ বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আস্থাপূর্ণ হওয়ায় বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রী তার দফতরে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। বিএনপি দেশ ও জনগণের স্বার্থে প্রতিবেশির সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা এই ব্যর্থতা আড়াল করতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে নানান অপপ্রচারে লিপ্ত।’


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় থাকতে ভারতে গিয়েছিলেন— বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, ‘বিদেশি কোনও রাষ্ট্র বা সংস্থা কাউকে ক্ষমতায় বসাবে, এমন উদ্ভট কথা আপনারা বিশ্বাস করলেও আমরা করি না। ক্ষমতায় কে থাকবে সেটা নির্ভর করে দেশের জনগণকে ওপর, জনগণই আমাদের আস্থার ঠিকানা এবং ক্ষমতার উৎস।‘

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশ ও দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে, জনকল্যাণই আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য।’

জনগণ শেখ হাসিনা সরকারের ওপর খুশি, সেকারণেই জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘জনগণের ওপর আওয়ামী লীগের আস্থা শতভাগ। জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের সাথে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’

ভারত আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর খুশি নয়, বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য কি তিনি শুনেছেন? তিনি (নরেন্দ্র মোদি) তার বক্তব্যে স্পষ্ট করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়তে পাশে থাকবে ভারত এবং একাত্তরের চেতনায় বিশ্বাসীদের সঙ্গে থাকবে ভারত।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব কী বুঝলেন— প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দুঃসময়ের, ভারত আমাদের দুঃসময়ের পরীক্ষিত বন্ধু।’

বঙ্গবন্ধু হত্যার ২১ বছর পর ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক বিএনপিসহ যারা করেছিল তারা বাংলাদেশেরই বেশি ক্ষতি করেছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটা অনুভব করেছিলেন যে, ভারতের সাথে বৈরিতা করে আমাদের ক্ষতি হয়েছে বেশি। সে কারণেই ২১ বছরের যে সংশয়, অবিশ্বাসের দেয়াল- তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সীমান্ত সমস্যার বাস্তবতা এবং ছিটমহল বিনিময়সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে।’