আওয়ামী পন্থি ইউএইচএন্ডএফপিও ডাঃ সাদিকাতুল তাহিরিণ এর খুটির জোর কোথায় ?
প্রকাশ : 2024-10-05 18:36:18১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
রংপুরের কাউনিয়ায় আওয়ামী পন্থি স্বাচিব সদস্য ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সাদিকাতুল তাহিরিণ-এর বিরদ্ধে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতা অপব্যবহার, ডাক্তার, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণের সাথে অসৌজন্য আচরণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তাকে অভিযোগ থেকে বাচানোর জন্য নিয়ম বর্হিভুত ভাবে প্রশিক্ষনে পাঠিয়েছে। সিভিল সার্জন রংপুর এর সহায়তায় একের পর এক অনিয়ম করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের দাপুটে এই কর্মকর্তা নানা অনিয়ম ও দুনীতি করলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেনি। বর্তমানে তিনি রংপুর সিভিল সার্জন অফিসে ন্যাস্ত থাকলেও সরকারী গাড়িটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জমা না দিয়ে বীরদর্পে ব্যাক্তিগত কাজে ব্যবহার ও হাসপাতালে প্রত্যেকটা বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন কি তার কারনে পুঁজায় বেতন ও বোনাস পাচ্ছেন না কর্মচারিরা।
সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানাগেছে, গত ৩ আগষ্ট বৃহস্পতিবার আওয়ামী পন্থি স্বাচিব সদস্য ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সাদিকাতুল তাহিরিণ কে স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের দাবিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০৪ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে দায়ের করেছেন। শনিবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল ডাক্তার, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধনে হিন্দু কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাদের বেতন বোনাস দাবী করেন। এছারাও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, ডাঃ সাদিকাতুল তাহিরিণকে অত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হইতে জরুরী ভিত্তিতে স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রহনের দাবি জানিয়েছেন। অফিস সূত্র জানান, মার্চ ২০২৩ থেকে জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত ৫মাসে ১১৫ কার্য দিবসের মধ্যে তিনি ছুটি নিয়েছেন ৫৮দিন, উপস্থিত ছিলেন ৪৭দিন। গত ২৯/০৮/২৪ বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ) ডাঃ এবিএম আবু হানিফ স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যেমে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্ত ডাঃ সাদিকাতুল তাহিরিণ লিজা কে পরবর্তী নিদেশ না দেয়া পর্যন্ত সাময়িক ভাবে সিভিল সার্জন অফিস রংপুরে দায়িত্ব পালনের জন্য ন্যাস্ত করা হয়। কিন্তু ওই পত্রে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা হিসেবে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। ১২দিন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার দায়িত্ব কেউ পালন করেনি। গুরুত্ব পূর্ন পদ ১২দিন ফাকা রাখায় নানা প্রশ্ন উঠলে গত ১১/০৯/২০২৪ সিভিল সার্জন রংপুর ডাঃ মোঃ মোস্তফা জামান চৌধুরী স্বাক্ষরিত পত্রে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর সরবচেয়ে জুনিয়র ডাক্তার আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মেহেদী হাসান কে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য বলা হয়। এই চিঠির বলে প্রশিক্ষণ পেলে ডাঃ মেহেদী হাসান পাওয়ার কথা কিন্তু সিভিল সার্জনের যোগসাজসে কর্তপক্ষ আওয়ামী সরককারের দাপুটে কর্মকর্তা ডাঃ সাদিকাতুল তাহিরিণ কোড নং- ১৩৩০৬৯ কে ঢাকায় প্রশিক্ষণের জন্য মনোনিত করেন। যোগদানের পর হইতে স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, কর্মকর্তাদের থেকে চাঁদা উত্তোলনসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছিলেন, ডাঃ সাদিকাতুল তাহিরিণ-এর নিকট আর্থিক ক্ষমতা এবং আইবাস এর আইডি ও পাসওয়ার্ড থাকায় সেপ্টেম্বর ২০২৪ এর বেতনসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী কর্মচারীদের আসন্ন দূর্গাপূজার উৎসব ভাতা পায়নি। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা পদায়ন সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় পথ্য, অন্যান্য মনিহারি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী ও ময়লা কাপড় ধৌতকরণসহ বিভিন্ন খাতের বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না, ফলে দাপ্তরিক কাজে অর্থনৈতিক জটিলতার হচ্ছে। এছারা অনিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মজুরী পরিশোধ করতে না পারায় হাসপাতালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম মারাত্বকভাবে ব্যহত হচ্ছে। তাই সনাতন ধর্মাবলম্বী কর্মচারীদের আসন্ন দূর্গাপূজার উৎসব ভাতা, সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর সেপ্টেম্বর২৪ মাসের বেতন-ভাতা প্রাপ্তিসহ ইউএইচএন্ডএফপিও ডাঃ সাদিকাতুল তাহিরিণকে জরুরী ভিত্তিতে স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের দাবীতে শনিবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। রংপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মোস্তফা জামান চৌধুরী জানান ডাঃ সাদিকাতুল তাহিরিণ বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টির তদন্ত হয়েছে যা বিভাগীয় পরিচালক স্যারের কাছে জমা হয়েছে। কাউনিয়ায় গাড়ীর গ্যারেজ নেই, ড্রাইভার নেই, তাই সিভিল সার্জন অফিসে রাখা আছে। তিনি কোন প্রশিক্ষণে যায় নি। এছারা মানব বন্ধনের বিষয়ে তিনি জানেন না।