আইসিজের রায় ‘আপত্তিকর’, সর্বাত্মক যুদ্ধ চলবে
প্রকাশ : 2024-01-27 10:03:57১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা ইস্যুতে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) রায়ের নিন্দা জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, এই রায় ‘আপত্তিকর’।
আইসিজের রায়কে ঘিরে দুটি বিবৃতিও দিয়েছেন নেতানিয়াহু। একটি হিব্রু ভাষায় এবং অন্যটি ইংরেজিতে। এসব বিবৃতিতে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছেন- ইসরায়েল একটি ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ করছে এবং তারা গাজা এবং হামাসের বেসামরিক বাসিন্দাদের আলাদা করে দেখে।
তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বাস্তবে সেখানে সবসময়ই ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়ে যা বলছেন তার সঙ্গে বাস্তবতার বিস্তর ফারাক রয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বিবৃতিতে তার বক্তব্য শেষ করেন এই বলে যে, ইসরায়েলিরা তাদের সমস্ত সামরিক উদ্দেশ্য অর্জন না করা পর্যন্ত (গাজায়) স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে যুদ্ধ চলবে।
সংক্ষেপে আইসিজের রায়
শুক্রবার গাজায় গণহত্যা ও গণহত্যার উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড রোধে সাধ্যের মধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে নেদারল্যান্ডসে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।
তবে যুদ্ধবিরতি বা ইসরায়েলকে সামরিক অভিযান বন্ধের কোনেও নির্দেশ দেননি বিচারকেরা। গাজায় মানবিক সংকট নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আদালত।
আইসিজে বিচারক প্যানেলের প্রেসিডেন্ট জোয়ান ডনোঘু বলেন, “আদালত এই অঞ্চলে উন্মোচিত হওয়া মানবিক ট্র্যাজেডির মাত্রা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত এবং প্রাণহানি ও মানবিক দুর্ভোগের অব্যাহত ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”
তিনি জানান, আদালত মনে করে- গাজায় ইসরায়েলের কিছু কর্মকাণ্ড অন্তত জাতিসংঘের জেনোসাইড (গণহত্যা) কনভেনশনের আওতায় পড়ে।
গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশনাসহ নয়টি বিষয়ে সাউথ আফ্রিকা হেগভিত্তিক এই আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছিল। তার মধ্যে গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা সংগঠিত করছে বলেও তাদের অভিযোগ ছিল।
ইসরায়েল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মামলা বাতিলের আবেদন করে, যা আদালত মেনে নেয়নি। অর্থাৎ, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে কিনা সেই বিষয়ে বিচারিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
যুদ্ধবিরতি বা সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ না দিলেও আদালত ইসরায়েলকে গণহত্যা ও গণহত্যার উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড রোধে সাধ্যের মধ্যে সব ব্যবস্থা নিতে বলেছে। সে অনুযায়ী ইসরায়েল কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা একমাসের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ই