অর্থসংক্রান্ত অপরাধ-কমপ্লায়েন্স বিষয়ে পাঠ্যক্রম তৈরি করছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশ : 2022-10-19 15:47:09১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
[ঢাকা, ১৮ অক্টোবর, ২০২২]- স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য অর্থসংক্রান্ত অপরাধ ও কমপ্লায়েন্স (এফসিসি) বিষয়ে একটি পাঠ্যক্রম তৈরির লক্ষ্যে একসাথে কাজ করছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক কমপ্ল্যায়েন্স অনুসরণ করে অর্থসংক্রান্ত অপরাধ দমনে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত পেশাদার একটি জাতি গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
বাংলাদেশে এফসিসি-ভিত্তিক জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে এই উদ্যোগটি তৈরি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এই কার্যক্রম চালু করার ফলে চাকরির বাজারে প্রবেশের আগেই দেশের তরুণ ও ভবিষ্যৎ জনসম্পদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে। যেখানে সমগ্র আর্থিক খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমন একটি ক্ষেত্রে প্রতিভার বিকাশে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একটি সার্টিফিকেট পাঠ্যক্রম তৈরি করার এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশে এটিই প্রথম।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার এই সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয়, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর অর্গানাইজেশন অ্যান্ড পিপল ক্যাপাবিলিটি বিভাগের গ্লোবাল হেড অ্যান্ড্রু ম্যাকলিন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স বিটপী দাস চৌধুরী, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর হেড অব হিউম্যান রিসোর্স খায়রুন এন হক এবং ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স (সিএফসিসি)-এর হেড অব কন্ডাক্ট ওমর এম ফারুক উপস্থিত ছিলেন। এসময় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ভিনসেন্ট চ্যাং এবং ব্র্যাক বিবিএস-এর ডিন স্যাং এইচ লি সহ অন্যান্য নির্বাহীরাও উপস্থিত ছিলেন।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, “ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম/ফ্রড (আর্থিক অপরাধ) মোকাবিলা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের মিশন এবং চলমান কার্যক্রমের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর্থিক অপরাধ শনাক্ত, প্রতিরোধ এবং ক্রমবর্ধমান সাইবার হুমকি মোকাবিলার করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির সাথে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আমরা একত্রে কাজ করে থাকি। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সাথে যৌথভাবে প্রোগ্রামটি চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত, যা মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এবং বাংলাদেশে আর্থিক অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াবে। বাংলাদেশকে আর্থিক অপরাধমুক্ত জায়গা হিসেবে গড়ে তুলতে এবং আগামী প্রজন্মকে যোগ্য করতে আমরা আশাবাদী।”
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ভিনসেন্ট চ্যাং বলেন, “প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের জন্য আর্থিক অপরাধ একটি উল্লেখযোগ্য চলমান চ্যালেঞ্জ। এই ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়ার অংশীদারিত্ব প্রধান নিয়ন্ত্রক এবং ফৌজদারি বিচার নীতির বিকল্পগুলির পাশাপাশি প্রতারণার পরিমাণ এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যয়গুলো আরও ভালভাবে পরীক্ষা করতে সাহায্য করবে। সবশেষে এই উদ্যোগ প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি উভয়ের সুরক্ষার জন্য আরও পদক্ষেপ গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।”
আর্থিক অপরাধ এবং কমপ্লায়েন্স বিষয়ে কারিকুলাম ডিজাইন ও চালু করার জন্য ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সাথে কাজ করার পাশাপাশি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক আর্থিক অপরাধ এবং এর সাথে সম্পৃক্ত কমিউনিটির মাঝে সতর্কতা ও সচেতনতার সংস্কৃতি তৈরি করে বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং ভবিষ্যতে ইতিবাচকভাবে অবদান রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।
দীর্ঘ ১১৭ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম পরিচালনাকারী স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-ই দেশের একমাত্র বহুজাতিক ব্যাংক। দেশের অগ্রগতির দীর্ঘস্থায়ী অংশীদার হিসাবে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড সর্বোচ্চ সততার সাথে অধিকতর সাফল্য, সম্পদ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রবৃদ্ধিতে সাহায্য করার জন্য ব্যাঙ্কিং সেবা ব্যক্তি ও কোম্পানি পর্যায়ে প্রদান করে যাচ্ছে। নৈতিকতা এবং ন্যায়পরায়ণতার নীতিকে ভিত্তি করে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।
২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় পাঠদানে একটি সংস্কারমুক্ত শিল্প পদ্ধতি অনুসরণ করে। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় সমসাময়িক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চমানের শিক্ষা নিশ্চিতে সর্বদা স্বচেষ্ট।