অবিবাহিত বা সমকামী যুগলদের সম্পর্ক নিয়ে যা বলল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

প্রকাশ : 2022-08-29 13:51:40১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

অবিবাহিত বা সমকামী যুগলদের সম্পর্ক নিয়ে যা বলল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক এবং সমকামিতা সমাজের চোখে খারাপ। যারা এ ধরনের সম্পর্কে জড়ান, তাদেরও আড়চোখে দেখা হয় ভারতীয় উপমহাদেশের অধিকাংশ দেশে। তবে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বলছে ভিন্ন কথা। সর্বোচ্চ এ আদালত বলছে, অবিবাহিত বা সমকামী যুগলদের সম্পর্কও পরিবারের আওতার মধ্যে পড়ে।

এক মামলার শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতে এই সম্পর্কগুলো ‘বিরল’ মনে হলেও আইনের চোখে তা নিরাপত্তা পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

রবিবার বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও এএস বোপান্নার বেঞ্চ বলেন, পরিবার বলতে সমাজ ও আইনের চোখে যা বোঝায়, তা হলো বাবা-মা ও তাদের সন্তান। একই সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, অনেক ক্ষেত্রেই নানা পরিস্থিতিতে একটা পরিবারের কাঠামোতে বদল ঘটে। যা অনেক পরিবারের কাছে প্রত্যাশিত নয়।

এই ধরনের পরিবার দুজন অবিবাহিত নারী-পুরুষ বা সমকামী (একই লিঙ্গের মধ্যে সম্পর্ক) যুগলকে নিয়েও তৈরি হতে পারে। এ ধরনের সম্পর্কগুলো হয়তো সমাজে তথাকথিত পারিবারিক সম্পর্কের মতো নয়, কিন্তু আইনত তাদের সব রকম সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য বলে জানায় আদালত।

২০১৮ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, সে দেশে সমকামিতা অপরাধ নয়। এরপর সেখানে সমকামী যুগলদের ‘লিভ-ইন’ করার অধিকার অনেকটাই মান্যতা পায়। গত কয়েক বছরে সমকামী যুগলদের বিয়ের সাক্ষীও হয়েছে দেশটি।

যদিও ভারতে এখনও সমকামী বিবাহ আইনি বৈধতা পায়নি। সেই দাবি উঠেছে সমাজের নানা স্তরে। এমনকি, সন্তান দত্তক নেওয়ার আর্জি জানিয়েও সরব সমকামী ও লিভ-ইন যুগলরা। এই প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্টের এ হেন পর্যবেক্ষণ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

আদালত এও বলেছে, বিবাহ বিচ্ছেদ হোক বা সঙ্গীর মৃত্যু, কিংবা আলাদা থেকে যদি কেউ একা সন্তান পালন করেন, শিশুর অভিভাবকত্বও যদি কেউ একা পালন করেন, সে ক্ষেত্রে তিনি পুনর্বিবাহ করুন বা দত্তক নিয়ে কিংবা শুধুমাত্র সন্তান পালক হন, তা সমাজের দৃষ্টিতে পরিবার হিসাবে গণ্য না হলেও আইনে তারা সবরকম সুবিধা পাওয়ার যোগ্য।

স্বামীর আগের পক্ষের দুই সন্তানের লালনপালনের জন্য অফিস থেকে মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছিলেন এক ভারতীয় নারী। বর্তমানে তার নিজের সন্তানের জন্যও এই ছুটি চান। কিন্তু তা দিতে নারাজ তার অফিস। এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই নারী। সেই মামলার শুনানিতেই এই পর্যবেক্ষণগুলো করে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।