অবস্থান কর্মসূচিতে জয়নুল আবদিন ফারুক

প্রকাশ : 2024-09-26 15:59:08১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

অবস্থান কর্মসূচিতে জয়নুল আবদিন ফারুক

বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস কয়মাসের মধ্যে নির্বাচন দেবেন, কখন নির্বাচন হবে সেটা রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে এমন একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় যাবে- যে নির্বাচন দিনে হবে, যে নির্বাচনে মৃত ব্যক্তি ভোট দেবে না।যে নির্বাচন কমিশন হাসিনার কথায় নির্বাচন করেছে এমন নির্বাচন কমিশন যাতে বাংলাদেশে আর কোনো দিন না হয়। 

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। 

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগ আপনাদেরকে ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করতে দেয়নি। আপনাদেরকে গুলি করেছে, আপনাদের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করেছে। আপনাদের পত্রিকাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। আপনাদের চ্যানেলগুলোকে ডিজিএফআই দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছে। আমরা আশা করছি, এই সরকারের অধীনে আপনারা বুক ফুলিয়ে স্বাধীনভাবে স্বাধীন কলম দিয়ে আপনাদের লেখনী দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ১৬ বছরের অত্যাচার, গুমের, মায়ের বুক খালি হওয়ার ইতিহাস তুলে ধরবেন। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কুচক্রীরা, প্রেতাত্মারা বাংলাদেশের এই সরকারকে অস্থিতিশীল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ড. ইউনূস বাংলাদেশের আকাশে একটা নক্ষত্র। যিনি বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করে তুলেছেন। আজকে আমাদের প্রিয় নেতা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছন। যারা মায়ের বুক খালি করেছে, আবু সাঈদের রক্ত বৃথা যাবে না। আপনার যতই ষড়যন্ত্র করেন না কেন, আপনারা বাংলাদেশের মাটিতে কোনো দিনও আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে আসতে পারবেন না। 

তিনি আরও বলেন, আপনি (শেখ হাসিনা) মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ণ করে ভারতের সঙ্গে আঁতাত করেছেন। সীমান্তে যখন আমার ভাইদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, সেই কথাগুলো আপনি কখনোই আমাদেরকে সংসদে বলার সুযোগ দেননি। আপনি এখন দাপটের সঙ্গে হিন্দুস্তানে বসে আছেন।

তিনি ভারতকে উদ্মোদেশ্দিয করে বলেন,  সরকার আপনার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নাই, কিন্তু আপনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলে। বাংলাদেশকে কোনো কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। বাংলাদেশের মানুষ সজাগ। ২০১৩ সালে যে চুক্তি করেছেন, সেই চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত দিতে হবে। যদি স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী আপনি হয়ে থাকেন, বন্দী চুক্তি যদি স্বাক্ষরে থাকে তাহলে শেখ হাসিনাকে দেশে হস্তান্তর করুন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচশর অধিক মামলা হয়েছে।

 জয়নুল আবদিন বলেন, তারেক রহমানকে এত ভয় কেন জানেন! খালেদা জিয়াকে এত ভয় কেন জানেন! ১৯৮০ সালে যখন জিয়াউর রহমান ভারত সফরে যান তখন ইন্দিরা গান্ধী জিয়াউর রহমানকে রিকোয়েস্ট করেছিলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত নেন, তার সম্পত্তি ফেরত দেন। তখন আমার নেতা জিয়াউর রহমান স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিল, সে (শেখ হাসিনা) দেশে আসুক, তার সকল সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে। আপনি (শেখ হাসিনা) দেশে এসেছিলেন, এরপর জিয়াউর রহমান কেন খুন হয়েছেন সেটা জানার ইচ্ছা আমাদের জাগে। ষড়যন্ত্র আপনি করেছেন। ষড়যন্ত্রকারী হচ্ছেন আপনি। বাংলাদেশের সকল সাংবাদিক প্রতিষ্ঠান আপনি ধ্বংস করে দিয়েছেন। কিন্তু তারেক রহমান বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের কথা বলেন। বাংলাদেশের ৯২ হাজার কোটি টাকা আপনি (শেখ হাসিনা) লুট করে নিয়েছেন। কানাডায় বাড়ি বানিয়েছেন, তখন মনে হয় নাই পালিয়ে যাবেন। এখন কেন জয়কে দিয়ে রাজনীতির কথা বলেন। এই সকল কথা চলবে না। বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে বিচারের আওতায় আনবে।

 

সা/ই