অবশেষে ভাঙ্গায় চা ল্যকর লাল মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার
প্রকাশ : 2021-03-21 19:32:09১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
উচ্চ আদালতের জামিন দেখিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী হয়েও প্রকাশ্যে ঘুরে বেরান দীর্ঘ্যদিন। একবার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলেও উচ্চ আদালতের জামিননামা দেখালে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। অবশেষে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তৈরী করা কাগজপত্র ভ’য়া প্রমানিত হওয়ায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের দক্ষিণ কালামৃধা গ্রামের চা ল্যকর লাল মিয়া হাওলাদার হত্যা মামলার প্রধান আসামী সুজন হাওলাদারকে গ্রেফতার করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানার এস,আই আবুল কালাম আজাদ সঙ্গীয় এ,এস.আই রেজওয়ান মামুন,এ,এস,আই রাকেশ সহ পুলিশ নিয়ে অভিযান চালিয়ে উপজেলার কালামৃধা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। রবিবার দুপুরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস,আই আবুল কালাম আজাদ জানান, সম্প্রতি লাল মিয়া হাওলাদার হত্যা মামলার প্রধান আসামী উচ্চ আদালতের জামিন দেখিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। গত ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ইং তারিখে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলে জামিনের কাগজপত্র এবং রি-কল দেখানোর পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ তদন্ত করে কোর্টে পাঠানো মূল জামিন নামায় প্রধান আসামীর নাম না থাকায় জামিনের বিষয়টি ভ’য়া প্রমানিত হলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এস.আই আবুল কালাম আজাদ আরও জানান, উচ্চ আদালত থেকে প্রাপ্ত জামিন নামায় দেখা যায় নিম্ন আদালতে পাঠানো কাগজপত্রের সাথে কোন মিল নেই। অথচ উচ্চ আদালত থেকে অন্যান্য জামিনপ্রাপ্ত আসামীদের তালিকার শেষে প্রধান আসামীর নাম অন্তর্ভূক্ত করে কোর্টে জমা দেয়।এতে হুবহু আ্ইনজীবির স্বাক্ষর করা কাগজপত্র নিম্ন আদালতে পাঠালে জামিনের রি-কল থানা পুলিশকে দেখিয়ে বিভ্রান্ত করে। আসল ঘটনাটি প্রকাশ হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিয়ে আসামীর জামিন করা উচ্চ আদালতের আইনজীবি এাডভোকেট আবু জাফরের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তার সীল,স্বাক্ষর সম্বলিত কাগজ পত্রের ব্যাপারে তার সাথে কথা বললে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
উল্লেখ্য যে,সম্প্রতি উপজেলা দক্ষিণ কালামৃধা গ্রামের কৃষক লাল মিয়া হাওলাদারকে উপর্যুপরি পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের পুত্র মেহেদী হাওলাদার বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বেশীর ভাগ আসামীই উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসে।