অনুমতি ছাড়াই স্বর্ণ ব্যবসায় সাকিব, ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি
প্রকাশ : 2022-05-22 10:38:48১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
রিলায়েবল কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এবং বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্বর্ণের ব্যবসা শুরু করেছেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমতি না নিয়ে এ ধরনের পণ্যের ব্যবসা শুরু করায় সাকিবের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি রিলায়েবল কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এবং বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকেও অবহিত করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
পুঁজিবাজারসহ কমোডিটি এক্সচেঞ্জের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। বিএসইসির অনুমোদন না নিয়ে এ ধরনের ব্যবসা শুরু করার ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
বিএসইসির চিঠিতে বলা করা হয়, ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ৮ (৪) অনুযায়ী, সদস্যভুক্ত কোনো ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোনো সিকিউরিটিজের জন্য ব্রোকার বা ডিলার হিসেবে কাজ করবে না। ফলে এ পরিস্থিতিতে কমিশনের অনুমোদন ছাড়া বা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য না হয়েও কমোডিটি ফিউচার কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে ব্যবসা করার প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে আপনাদের অবস্থান জানতে চায় কমিশন। এ চিঠি জারি করার সাত কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা করার জন্য অনুরোধ করা হলো। ’
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কমোডিটি ফিউচার কন্ট্রাক্ট সংক্রান্ত বিষয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ২(সিসিসি) অনুযায়ী, কমোডিটি এক্সচেঞ্জে নগদ বা অফসেট কমিশনের সঙ্গে যথাযথভাবে নিবন্ধিত। কমোডিটি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- কৃষি, পশুসম্পদ, মৎস্য, বনজ, খনিজ বা এনার্জি দ্রব্যাদি এবং এই জাতীয় পণ্য থেকে তৈরি বা প্রক্রিয়াজাত দ্রব্যাদি। এছাড়া কমিশন কর্তৃক সরকারি গেজেটের মাধ্যমে অবহিত করা যে কোনো পণ্য/দ্রব্যাদি হতে পারে। আর সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ২(১)(৩) অনুসারে, কমোডিটি ফিউচার কন্ট্রাক্টকে নিরাপত্তা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
এদিকে গত ২২ এপ্রিল রাজধানীর বনানীতে নিজের স্বর্ণ ব্যবসার শো-রুম উদ্বোধন করেন সাকিব।
তার বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে ডিলার হিসেবে অনুমোদন পায়। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ঢাকা, রংপুর ও কুমিল্লায় তিনটি অফিস দিয়ে বিদেশ থেকে সোনার বার ও অলঙ্কার আমদানি করে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করেছে।