‘ভারতের মানুষের জীবনের মূল্যে ভ্যাকসিন রফতানি করিনি কখনও'

প্রকাশ : 2021-05-18 21:52:14১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

‘ভারতের মানুষের জীবনের মূল্যে ভ্যাকসিন রফতানি করিনি কখনও'

ভারতের মানুষকে ভ্যাকসিন না দিয়ে কেন বিদেশে রফতানি করা হল, সেকেন্ড ওয়েভের মধ্যে বারবার সামনে আসছে এমন প্রশ্ন। তাই ভ্যাকসিন  রফতানি প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা । এক বিবৃতিতে তিনি বললেন, ‘ভারতের মানুষের জীবনের মূল্যে ভ্যাকসিন রফতানি করিনি কখনও।’ কেন ভ্যাকসিন পাঠানো হল অন্যান্য দেশে, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। সোমবার সেরাম ইনস্টিটউটের তরফ থেকে ওই বিবরতি প্রকাশ করা হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে তিনি সাফ জানিয়েছেন, ভারতের যা জনসংখ্যা তাতে তাতে ২-৩ মাসে সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব নয়। দেশের সব মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে বেশ কিছুদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বের সবথেকে জনবহুল দুই দেশের মধ্য একটি ভারত।’ তাই কয়েক মাসে টিকাকরন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয়। পুনাওয়ালার দাবি, বিশ্বের সব মানুষের টিকাকরন সম্পূর্ণ হতে ২ থেকে ৩ বছর সময় লাগবে।

ভ্যাকসিন রফতানি নিয়ে প্রশ্নের মুখে সেরাম কর্তা বোঝালেন অন্যান্য দেশে ভ্যাকসিন পাঠানোয় আদতে ভারতেরই লাভ হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। পুনাওয়ালার দাবি, বিশ্বের সব দেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি হলে তবেই অতিমারী থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাই ভারত যে সব দেশে ভ্যাকসিন পাঠিয়ে সাহায্য করেছে, সে সব দেশও পরবর্তীকালে ভারতের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া কোভিশিল্ড উৎপাদনকারী সংস্থার এই কর্তা মনে করেন, অতিমারীর কোনও ভৌগলিক সীমারেখা নেই। তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশেও যাতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।

সব শেষে পুনাওয়ালা জানিয়েছেন ভ্যাকসিন উৎপাদনে ভারতই তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভারতীয়দের জীবনের মূল্যে কোনও ভ্যাকসিন রফতানি করছেন না তিনি। কেন্দ্রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে করোনা প্রতিহত করার বার্তা দিয়েছেন তিনি।

সেরাম ইনস্টিটিউটে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড তৈরি হয়। এটিই বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা। যদিও সেকেন্ড ওয়েভের আবহে আগামী কয়েক মাস ভ্যাকসিন রফতানিতে রাশ টেনেছে কেন্দ্র। দেশ জুড়ে করোনার এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার।